র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ডাকাত, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র
উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও প্রতারকচক্রসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা
পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ
ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই বিশেষ সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমানে অসাধু মাদক ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশী/বিদেশী মাদক
সংগ্রহ করে বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালী থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক
ব্যবসা পরিচালনা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা ও অপারেশন চালিয়ে
আসছে।
ধারাবাহিকতায় র্যাব-৮, বরিশাল, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি বিশেষ
আভিযানিক দল ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালী থানা এলাকায়
একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে আনুমানিক
সকাল ০৫.২০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক
ব্যবসায়ী মাদক জাতীয় দ্রব্য ফেন্সিডিল সরবরাহ করার জন্য যশোর জেলা হতে একটি
পিকআপ যোগে ফেন্সিডিল বহন করে বরিশাল মহানগরী হয়ে পটুয়াখালী জেলার
কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে আসছে।
উক্ত ফেন্সিডিল বহনকারী পিকআপকে পাহাড়া দিয়ে একটি
প্রাইভেটকার একত্রে আসছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দলটি
আনুমানিক ০৭.০৫ ঘটিকায় কৌশলগতভাবে মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন রুপাতলী
২৪নং ওয়ার্ডস্থ দপদপিয়া ব্রীজ সংলগ্ন বরিশাল টু কুয়াকাটা গামী মহাসড়কের টোল
ঘরের সামনে পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট বসিয়ে গাড়ী থামিয়ে তল্লাশি করতে থাকে।
তল্লাশির সময় একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার এবং একটি নীল রংয়ের মিনি পিকআপ
চেকপোষ্টের সামনে আসলে গাড়ী থামানোর জন্য সংকেত প্রদান করে। গাড়ীর চালকদ্বয়
সংকেত পেয়ে গাড়ী চেকপোষ্টের সামনে থামায়। তখন গাড়ীর চালকদ্বয় এর গতিবিধি
দেখে সন্দেহ সৃষ্টি হলে উপস্তিত র্যাব সদস্য গাড়িটির সন্নিকটে যায়। তখন গাড়ী
হতে দৌড়ে পালানোর সময় সঙ্গীয় ফোর্স ঘেরাও পূর্বক ০৫ (পাঁচ) জন ব্যক্তিকে আটক
করে।
আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম (১) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম(২৫),
পিতা- আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, সাং- বেনাপোল ভবের বেড়, (২) মোঃ মেহেদী হাসান(২০),
পিতা- মোঃ আলী কদর, সাং- বেনাপোল দূর্গাপুর, উভয় থানা- বেনাপোল পোর্ট, জেলা-
যশোর, (৩) মোঃ আলাউদ্দিন(৩৪), পিতা- মোহাম্মদ আলী, সাং- খালিশপুর শিকদার বাড়ী
মোড়, থানা- খালিশপুর, কেএমপি, খুলনা, (৪) মোঃ নাজমুল হাসান @ সুমন(৩০),
পিতা- মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং- আঞ্জুমান রোড, থানা- দৌলতপুর, কেএমপি, খুলনা,
(৫) মোঃ শহীদুল ইসলাম(২৫), পিতা- মোঃ সামছুল হক, সাং- বজ্র বাকসা, থানা-
কলারোয়া, জেলা- সাতক্ষীরা বলে জানায়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে
ধৃত পিকআপ গাড়ী তল্লাশি করে ৫৭৩ (পাঁচশত তিহাত্তর) বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক
বিক্রয়ের নগদ ১১,০০০/- টাকা উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়ী দুইটি
জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীরা আরও স্বীকার করে যে, তারা যোগসাযোসে
দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে ফেন্সিডিলের চালান সংগ্রহ করে বরিশাল
জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিক্রয় করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে
বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা
হয়।