ভোলার মনপুরায় ঢাকা থেকে খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি মনপুরা থানার নজরে আসলে এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মনপুরা থানা পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার রামনেওয়াজ ইউনিয়নের আন্দিরপাড় গ্রামের সাকিব (১৮), জোবায়ের (১৭), করিম (৩০) ও রহিম (২৫)।
গ্রেফতারকৃতদেরকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মোটরসাইকেল চালক রহিমকে ছেড়ে দেয়া হয়। ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামী শামীম ও রুবেল পলাতক রয়েছে। আটককৃত ৩ জনসহ মোট ৫ জনকে আসামী করে মনপুরা থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ০৭ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দিবাগত রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে ওই কিশোরীকে মুখ চেপে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষণকারীরা। রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে উপজেলার কুলাগাজীর তালুক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফেলে রেখে যায় কিশোরীকে। পরদিন সকালে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনার ৩ দিন পর গণধর্ষণের বিষয়টি মনপুরা থানার নজরে আসে। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রামনেওয়াজ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে মোটরসাইকেল চালক মোঃ রহিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পলাতক ২ জনসহ মোট ৫ জনকে আসামী করে গণধর্ষণমামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, নির্যাতিতা কিশোরী কোরবানীর ঈদের পর গত একমাস পূর্বে ঢাকা থেকে মনপুরায় তার খালা বাড়িতে বেড়াতে আসে। সে তার মায়ের কাছে ঢাকায় থাকতে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
এব্যাপারে ধর্ষিতা কিশোরীর খালু কাইউম ব্যাপারী জানান, ধর্ষণের প্রেক্ষিতে আমরা থানায় অভিযোগ করি। এখন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা উপযুক্ত বিচার চাই।
এব্যাপারে উপজেলার রামনেওয়াজ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল মোমিন টিটু ভূঁইয়া জানান, আমার এলাকায় যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তার তদন্তসাপেক্ষে বিচার হোক। যেন এরকম ঘটনা আর কখনো না ঘটে।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জানান, গণধর্ষণের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করি। বাকী অভিযুক্ত পলাতক দুই আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।