বর্তমানে সাক্ষরতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮.৯৩ শতাংশ। বর্তমানে ৭৪.৭ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলার ৩৪০টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ১০, ২০০ জন পুরুষ এবং ১০,২০০ জন মহিলাকে সাক্ষরতা প্রদান করা হয। সোমবার দুপুরে বরিশালের জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকার।
জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফিন। আলোচক হিসেবে ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম, বরিশাল মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরিশাল সদর মুনিবুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অীফসার আব্দুল লতিফ মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাস, এনজিও কর্মী জাহাঙ্গীর কবির প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে সাক্ষরতা সমিতি গঠনের পর ১৮টি জেলায় ৬৮ টি থানায় ৩২৫টি গ্রামে গণশিক্ষা কেন্দ্র চালু এবং এর মাধ্যমে ১৮,০০০ জন নিরক্ষরকে সাক্ষরতার আওতায় আনা হয়। বরিশালে ২০১৮-১৯ সালে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প ৬৪ জেলার মাধ্যমে বরিশাল জেলার ২টি উপজেলায় ৩৬,০০০ জন নিরক্ষর নারী পুরুষকে ৬০০টি শিক্ষা কেন্দ্রে সাক্ষরতা প্রদান করা হয়।
উপজেলা ২টি হলো গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া। বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৪.৪%। বাংলাদেশে সাক্ষরতা হার ২০১৯ সালে ছিল ৭৩.৯৬। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে ২১ লক্ষ লোককে সাক্ষরতার আওতায় আনা হবে। তার মধ্যে বরিশাল জেলায় ৫৫,০০০ জন ৫০% মহিলা নিরক্ষরকে সাক্ষরতার আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বয়স ১৫-৪৫।
সাক্ষরতা প্রদানের জন্য ৯২০টি শিক্ষা কেন্দ্র চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।