নেত্রকোনা পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বিশেষ প্রতিনিধি:: নেত্রকোনায় বালি পরিবহনের ট্রাক, কভারভ্যান, ট্রাক্টর , লড়ি থেকে নিয়ন্ত্রণের নামে শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদা তোলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়নের নামে এ চাঁদা তোলা হচ্ছে। এ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পরিবহনের মালিক ও চালকরা। অভিযোগ, ৫০ টাকা লেখা রিসিড (টোকেন) দিয়ে আদায় করা হয় ২০০ টাকা । সরকারদলীয় ও বিএনপির নেতা কর্মীরা চাঁদাবাজিতে যুক্ত থাকায় প্রতিবাদ করলে চরম নাজেহাল হতে হয়। এই চাঁবাবাজির টাকায় সরকারী দলের অনেক নেতা-কর্মী এখন কোটি কোটি টাকার মালিক ।

অভিযোগ রয়েছে, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরুর আশ্রয় পশ্রয়ে হচ্ছে এই চাঁদাবাজি । পরিবহন সেক্টরে এই চাঁদাবাজির সুযোগকে কাজে লাঘিয়ে বৈধ বালি কারবারের আড়ালে বেআইনি ভাবে কোটি কোটি টাকার খেলাও চলছে । বালি পরিবহনের সেক্টর থেকে অবৈধভাবে আয় করা টাকা দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হয়ে উঠছেন। রাজনৈতিক দলেল তকমা থাকার কারণে, কিংবা রাষ্ট্রীয় বা দলীয় দায়িত্বকে ক্ষমতা ভাবা এসবের সবকিছুর পেছনে অবৈধভাবে অর্থ ও কোটিপতি গড়ার মানসিকতায় লিপ্ত তারা । অপরদিকে ৫০ টাকার কোটেন বা রিসিড ২০০ টাকায় আদায়ের ফলশ্রুতিতে ট্রাক, লরি-ট্রাক্টর-ডাম্পারে মাত্রাতিরিক্ত বালি বহন করা হচ্ছে । এই সব কাজ অবৈধ ভাবে চালানোর জন্য সমাজবিরোধীদের প্রশ্রয় দেওয়া-সহ নানা অভিযোগ বৈধ বালি-কারবারিদের বিরুদ্ধেও উঠেছে।

বালিঘাটের দখল নিয়ে রক্তও ঝরেছে অনেক। জানা গেছে, অবৈধ কারবারের মুশকিল আসান হিসেবেই চালু হয়েছে রিসিড । বালি ভর্তি পরিবহনে বৈধ কাগজপত্র না থাকুক, শুধু রিসিড থাকলেই যথেষ্ট। অতিরিক্ত বালি বোঝাই পরিবহনে যাতায়াতের ছাড়পত্র পেয়ে যাচ্ছে রিসিডের দৌলতে। এ ভাবেই টাকার খেলা চলছে বলে অভিযোগ। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব ।

অভিযোগ রয়েছে, চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটে জড়িত সরকার দলীয় জেলা যুবলীগ নেতা, শ্রমিক লীগ , ছাত্রলীগের কিছু নেতা- কর্মী । জড়িত আছে বিএনপির যুবদল, ছাত্রদল , যুবদল ও শ্রমিকদল সমর্থকরাও । এদিকে নেত্রকোনার এমপি , সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরে শ্রমিক ইউনিয়নের প্যাডে ট্রাক, ট্রাক্টর, লড়ি শ্রমিক সংগঠনের শ্রমিক ইউনিয়নকে রেজিস্ট্রিভূক্ত হওয়ার আবেদনে সুপারিশ করেছেন । অভিযোগ রয়েছে, এই সংগঠনে সম্পৃক্ত অধিকাংশরাই বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ও শ্রমিক দলের নেতা- কর্মী । প্রতিমন্ত্রীর এই সুপারিশ করা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ।

জানা গেছে, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ এখন টক অফ দ্যা কান্ট্রি । নেত্রকোনায় পরিবহনে চাঁদাবাজি করে অনেকেই এখন এই দুই ভাইয়ের মত টাকার পাহাড় গড়েছেন বলে সচেতন মহলের দাবি । প্রতিদিন ১৫শ’ বালির পরিবহন থেকে উত্তোলন করা করে চাঁদার টাকা । চাঁদার টাকায় অনেক নেতা- কর্মী কোটি কোটি টাকার বাড়ি, গাড়ি, ব্রিকফিল্ডসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক । অভিযোগ আছে এসবের একটি অংশ যায় প্রতিমন্ত্রীর পকেটেও । র‌্যাপিড আ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) তদন্ত করলেই সত্যতা মিলবে বলে মনে করছেন নেত্রকোনাবাসী ।