ভোলা-বরিশাল সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি।
দ্বীপ জেলা ভোলার সাথে কোনো সড়ক যোগাযোগ না থাকায় বরিশাল জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। বর্তমানে একটি মাত্র ফেরীঘাট দিয়ে মালবাহী গাড়ি পারাপার করা হয়। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে তেঁতুলিয়া ও কালাবাদর নদীর উপর সেতু নির্মাণ করে বরিশাল ও ভোলা জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে।
এমপি জ্যাকব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি এ প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে। এ সেতু নির্মাণে ভোলার মানুষের বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনকে উন্নত করবে। সেতুটি ভোলা জেলাকে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে সহজেই মূল ভূ-খন্ড এর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সহায়তা করবে। ভোলার সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের সূচনা হতে যাচ্ছে।
ভোলা বরিশাল ৪.৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুতে এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।
পরবর্তীতে আরও কিছু বিষয় স্পষ্ট করার পর আগামী বৈঠকে উপস্থাপন করতে বলা হয়। ভোলা থেকে অন্যত্র প্রকৃতিক গ্যাস সঞ্চালনের জন্য পাইপ লাইন স্থাপনও এ প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত আছে।