লাখ টাকা মূল্যের সরকারি ঘর পেয়েছেন অর্ধ লাখ টাকা উৎকোচ দিয়ে! ঘরটি পেয়ে বেজায় খুশিই হয়েছিলেন বরিশালের উজিরপুরের গুঠিয়া মডেল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দোসতিনা গ্রামের ছত্তার খানের স্ত্রী বেগম।
প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দের সরকারি ১লাখ টাকার ঘর পেতে অর্ধ লাখ টাকা লাগে এটা বেগম জানতেন না। এ বিষয়টি তাকে জানান, ইউপি সদস্য মো: মোজাম্মেল হোসেন সরদার।
তাকে ঘর দিয়েছেন ওই ইউপি সদস্য তবে উৎকোচ নিয়েছেন অর্ধলাখ টাকা। এ ব্যপারে গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. দেলোয়ার হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: মোজাম্মেল হোসেন সরদার হত দরিদ্র বেগমকে এক লাখ টাকার বরাদ্দের ঘর দেয়ার বিনিময়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নেন।
বেগম ব্র্যাক এনজিও হতে ঋণ নিয়ে ইউপি সদস্যকে ওই ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এব্যাপারে বেগম জানান, তাকে সরকারি বরাদ্দের ঘর দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্য মোজাম্মেল ৭৫ হাজার টাকা দাবী করেন।
অনেক অনুরোধের পরে তিনি ৫০ হাজার টাকায় তাকে ঘর দিতে রাজি হয়। এবং ৩ দিনের মধ্যে সেই টাকা পরিশোধের সময় বেধে দেয়।
বেগম বর্তমানে ভিক্ষা করে ব্র্যাক এনজিও’র ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করছেন বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীন হতদরিদ্র হিসেবে তাকে এ ঘর বিনামূল্যে দিয়েছেন জানতে পেরে তিনি উৎকোচ দেওয়া ওই টাকা ফেরত পেতে ইউনিয়ন পরিষদে এ লিখিত অভিযোগ করেন বলেও জানান।
সোমবার দুপুরে গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বাসু দেব ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ওই নারীর লিখিত অভিযোগ দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে গুঠিয়া মডেল ইউপি চেয়ারম্যান ডা. দেলোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এবং অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন ফোন রিসিভ না করায় এ প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সরদারের কাছ থেকে এর আগে হদদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের ৭ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছিলো।