করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে দাবি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রোগী আরও কমে গেলে এই মাসের শেষে কয়েকটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল বন্ধ করে নন-কোভিড হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৮টি বিভাগীয় পর্যায়ে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনায় অনুষ্ঠেয় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রকোপ কমে আসছে। করোনার বাইরে যেসব নন-কোভিড রোগী আছে, করোনার কারণে তারা সেভাবে চিকিৎসা পাননি। তাই অনেকগুলো হাসপাতাল এ মাসের শেষে নন-কোভিড করে দেওয়া হবে। এখানে সবাই চিকিৎসা নিতে পারবেন। অনেকের রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন, কিন্তু কোভিডের ভয়ে চিকিৎসা নিতে পারছেন না, হাসপাতালে আসছেন না। বাসায় বসে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কত সংখ্যক হাসপাতাল নন-কোভিড করা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে কোভিড হাসপাতালের ৭০ শতাংশ সিট খালি আছে। যেসব কোভিড হাসপাতাল নন-কোভিড ঘোষণা করা হবে, সেখানে কোভিড রোগীর চিকিৎসা হবে না, কোভিডের জন্য আলাদা হাসপাতাল আছে, সেখানে চিকিৎসা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনার কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে গেছি। গত ৬/৭ মাস কাজ করতে পারিনি। এখন আমরা নন-কমিউনিকেবল ডিজিস যেগুলো আছে সেগুলোর ওপর জোর দিয়েছি, কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছি।
ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প কার্যক্রমের পর্যালোচনা শেষে জাহিদ মালেক বলেন, ২০২২ সালের মধ্যেই দেশের ৮ বিভাগে ৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এই হাসপাতালে ক্যান্সার রোগের পাশাপাশি কিডনি ও হার্টের চিকিৎসারও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। ক্যান্সার, কিডনি ও হার্টের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি বিভাগে অন্তত ৩০০টি করে শয্যা রাখা হবে। হাসপাতালের শয্যাগুলোতে আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি ওয়েটিং রুম, চিকিৎসকদের বিশ্রামাগার, অ্যাটেন্ডেন্টদের জন্য আধুনিক ও উন্নত ব্যবস্থা রাখা হবে। হাসপাতালগুলি নির্মাণের পর দেশের মানুষকে চিকিৎসার জন্য আর বিদেশমুখী হতে হবে না।