বরিশালে প্রচণ্ড তাপদাহ ও শ্রাবণের খরতাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষের জনজীবন। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের কর্মজীবন। কোথাও নেই বৃষ্টি, নেই বাতাস। একইসঙ্গে বাড়ছে তাপদাহ।
আষাঢ় মাসের বৃষ্টি-বাদল নিয়ে একশো উনিশ বছর আগে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে/ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
অথচ বর্তমানে শ্রাবণের এই খরতাপে যেন কবির সেই ছন্দ পাল্টে গিয়ে হয়েছে, ‘নীল নবঘনে শ্রাবণ গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে/ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
এদিকে সরেজমিনে সোমবার (৩ আগস্ট) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একটু স্বস্থির নিশ্বাস ফেলতে গাছের তলা, বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষজন।
এর সঙ্গে বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিকর হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপন।
এক রিকসা ও ভ্যানচালক জানান, প্রচণ্ড রোদের তাপ ও গরমের কারণে লোকজন রিকশা ও ভ্যানে উঠছে না। অনেকই আবার বাড়ি থেকেও বের হয়নি।
গত কয়েকদিনের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে গেছে গরম। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গরমের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানালেন আবহাওয়া অফিস।