এইচ আর হীরা॥ মাত্র কদিন পরেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আযহা (কোরবানি) পালন করবে বরিশালের মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে এবারের উৎসব কিংবা উৎযাপনের ব্যস্ততার রং ফিকে হয়েছে অনেকটা।
কিন্তু স্রষ্টার নৈকট্য লাভের আশায় পশু কোরবানি থেমে থাকবে না এবারও।প্রতিবছর কোরবানির পশু কেনার মূল ভরসা হয়ে ওঠে জেলার বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী পশুর হাট। করোনা সংকটের বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব হাট পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে এখনো কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি বরিশালের প্রশাসন।
আর কোরবানির পশুর হাট যেন করোনা জীবাণু সংক্রমণের অন্যতম স্থান না হয় সে ব্যাপারে নজর দেবার তাগিদ দিয়েছে সচেতন নাগরিক সমাজ। গত বছর বরিশাল মহানগরসহ জেলার ৬৬টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসেছিলো এবং সিটি কর্পোরেশনের ১৪২টি স্থানে কোরবানি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারন করা হলেও এবারের ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন থেকে এখনো নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ।
বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজি আব্দুল মান্নান জানান, যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব তাদের সবাইকে পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে হবে। আবার করোনা জীবাণুর আক্রমণ থেকে নিজেকে ও পরিবারকে মুক্ত রাখার চেষ্টাও করতে হবে৷
এই দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কোরবানির পশুর হাট যেন ক্রেতাদের জন্য নিরাপদ হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।তিনি পরামর্শ দেন, যদি বিগত দিনের চেয়ে ছোট জায়গা নিয়ে কিন্তু বেশি পরিমাণে পশুর হাট করা যায় ও নির্দিষ্ট এলাকার মানুষদের জন্য নির্দিষ্ট পশুর হাট নির্ধারণ করা যায় তবে সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে প্রতিটি হাটে ক্রেতাদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা ও যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করার ব্যাপারে যথাযথ নজরদারি রাখতে হবে।
অন্যদিকে কোরবানির পশু কেনা বেঁচার জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশালের নাগরিক ইকবাল হোসেন তাপস। তিনি বলেন, কোরবানির হাটে যে ধরণের ভিড়ভাট্টার চিরায়ত চিত্র আমরা দেখি সেটা যেন এবার ফিরে না আসে সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।এজন্য অনলাইনে পশু বিক্রিকে স্থানীয় প্রশাসনের উৎসাহিত করা উচিত।
এছাড়া সাধারণ হাটগুলো ডিজিটালাইজড করে সেগুলোতে যথাসম্ভব সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা জরুরী।এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান জানান, এখনো উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। তবে এবারের পশুর হাট পরিচালনা বিগত দিনের মতো হবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আমরা পশুর হাট ব্যবস্থাপনা নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। এ ব্যাপারে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তার বক্তব্যের জন্য একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।