করোনা জয় করে কাজে যোগ দিলেন কুষ্টিয়ার ডিসি

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

২২ দিন করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে কাজে ফিরলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আসলাম হোসেন। সোমবার (২৯ জুন) সকাল ১০টায় তিনি অফিসে আসেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এর আগে গত ৬ জুন জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় তাৎক্ষণিকভাবে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর থেকে শুরু হয় করোনার সঙ্গে যুদ্ধ। ওই দিন থেকেই তিনি নিজ সরকারি বাংলোতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেন। পরে ১১ দিন এবং ১৪ দিনের মাথায় পরপর দুই বার তার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল আসে। ফলে চিকিৎসকরা তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হচ্ছে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা এবং কঠোর মনোবল বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা। পাশাপাশি ঘরোয়া মসলা জাতীয় উপাদানসহ গরম পানির উষ্ণতা গ্রহণ করলে সুফল পাওয়া যায়। চিকিৎসার বাইরেও কিছু নিজস্ব চিকিৎসা আছে যেমন গরম পানির ভাপ নেয়া, ফুসফুসের এক্সারসাইজ করা, রোদে থাকা, কিছু মসলা জাতীয় জিনিস দিয়ে গড়গড়া করা এ রকম কিছু টোটকা চিকিৎসা আছে। এসব মেডিকেল সাইন্স সাপোর্ট না করলেও করোনা থেকে উপশম পেতে বেশ ফলপ্রসু বলে মনে হয়েছে।

তিনি বলেন, দৃঢ় মনোবল বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ক্যালরি বা পুষ্টির যোগানে খাওয়া-দাওয়াটা সঠিক নিয়মে করতে হবে। বিশেষ করে প্রোটিন ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্যসহ টাটকা ও গরম খাবার গ্রহণ করতে হবে। করোনা আক্রান্তদের যদি মারাত্মক শ্বাসকষ্ট না থাকে তাহলে এর থেকে পরিত্রাণে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমার সহকর্মীরা প্রকৃত অর্থেই ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজ করছেন। করোনা সংকট মোকাবেলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের পাশাপাশি প্রশাসনিক নানাবিধ কাজকর্ম, সর্বক্ষণিক মনিটরিং ছাড়াও মৃতদের লাশ দাফনের কাজও তাদের করতে হচ্ছে। তবুও বলি বেশি আতঙ্কিত হবার দরকার নেই। আমরা যেহেতু ধর্ম মানি, সে কারণে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি আস্থা রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হবে। প্রত্যেকটা মানুষের আয়ু যেহেতু আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন সেটা মাথায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে আমাদেরকে দৈনন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে যেতে হবে।