হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে মানুষের জন্য চিন্তা করতেন করোনায় আক্রান্ত তরুণ সমাজসেবক তারেক

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

তানভীরুল ইসলাম, সুবর্ণচর প্রতিনিধিঃ  নিজ এলাকা নোয়াখালীর সুবর্ণচরে তরুন উদ্যোক্তা, সমাজসেবক হিসেবে অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিত মানবিক বন্ধু শরীয়তুল্লাহ মোঃ তারেক করোনা আক্রান্ত হয়েও কিভাবে মানুষের কথা ভাবা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে। করোনা পজেটিভ হওয়ার পর ভর্তি হন ঢাকার কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে। সেইখানে থেকে তিনি নিজ এলাকা নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার গরীব অসহায় মানুষদের জন্য বিভিন্ন আইডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে শেয়ার করেন। উন্মুক্ত মাঠে মাছের পোনা অবমুক্ত করা, বিভিন্ন ফলফলাদি খেয়ে বীজ/আঠি/বিচি/দানা এসব যত্রতত্র না ফেলে তিনি রাস্তার আশ পাশে ফেলার পরামর্শ দেন। উন্মুক্ত জমিনে মাছের পোনা ছাড়ার অনুরোধ করেন ধনীদের প্রতি। যাতে করে পরবর্তীতে গরীব অসহায় মানুষজন এই মাছ খেতে পারে। ঠিক এইরকম একটি মানবিক আবেদন করে তিনি তার ফেইসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দেন, তাতে এলাকার যুবকদের কাছে বেশ ভালো সাড়া ফেলেছে।

তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
::::একটা মানবিক আবেদন:::::
আপনারা যারা আম, জাম, লিচু, পেপে, কাঠাল খাবেন,
খাবার পর তার বীজ/আঠি/বিচি/দানা/seeds গুলোকে ফেলে দেবেন না। সেগুলো ভালো করে পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে একটি কাগজে মুড়ে রেখে দিন।
যদি কখনও কোথাও গাড়িতে করে দূরে কোথাও ঘুরতে যান তবে সেই বীজগুলো অবশ্যই রাস্তার ধারের অনুর্বর ফাঁকা জমিতে একে একে ছিটিয়ে দিন। আসছে বর্ষার মৌসুমে সেই বীজ থেকে নতুন চারাগাছ জন্ম নিবে। যদি এদের মধ্যে একটা গাছ ও বেঁচে থাকে তবে সেটাই হবে এই পৃথিবীকে আপনার দেওয়া সবচেয়ে বড় উপহার। ❤
ফলের গাছ শুধু পরিবেশকে অক্সিজেন দিয়ে সতেজ রাখে না, ফল খাবার লোভে অনেক পাখি আসে গাছে গাছে।
যার ফলে পরিবেশের হারিয়ে যাওয়া ভারসাম্য রক্ষা হয়।
ইসলাম অনুযায়ী, এটা সদকায়ে জারিয়াহ্। অর্থাৎ মৃত্যুর পরও যে সওয়াব জারি থাকে। যতদিন ঐ গাছ থেকে প্রাণীকূল অক্সিজেন পাবে, ছায়া পাবে, উপকৃত হবে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম এছাড়াও গাছ থেকে পোকামাকড় বা পাখি ফল খেয়ে ফেললেও ইকোসিস্টেম উপকৃত হবে।
বিঃদ্রঃ তিনি করোনাকে জয় করে সুস্থ শরীরে বাসায় ফিরে এসেছেন