দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কারখানা ও মার্কেট সমূহ খোলা রাখারা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় বরিশালের প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা যাচাইকল্পে বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় নিয়মিতভাবেই বিভিন্ন দোকান, শপিং মূল এবং কারখানা পরিদর্শন করছে বরিশাল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুটি টিম। এসময় তারা ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার ১ টি প্রতিষ্ঠান এবং ৬ জন ক্রেতাকে ৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ রবিবার (১৭ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশাল নগরীর চকবাজার, বাজার রোড, কাঠপট্টি, ফলপট্টি, গীর্জা মহল্লা, সদর রোড এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও দ্রব্যমূল্যের বাজার দর মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন জলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমূল হুদা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি প্রতিপালন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা কালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে টহল অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং সচেতনামূলক মাইকিং করা হয়।
নগরীর কাঠপট্টি, চকবাজার ও গির্জামহল্লা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা। এসময় স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কেনাকাটা করতে আসায় মোঃ জাকারিয়া, মোছাঃ নাজমা ও ডলি নামে তিনজন ৫০০ টাকা করে ১৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। একাধিকবার সতর্ক করা স্বত্তেও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় কোহিনূর সু হাউসসহ ৩ টি জুতোর দোকানকে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।
অপরদিকে নগরীর চকবাজার, গির্জা মহল্লা ও বটতলা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় নগরীর চকবাজার এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও তিনজন ব্যক্তিকে মোট ৪৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে আইনশৃংখলা রক্ষায় সহযোগিতা করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ১টি টিম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ও র্যাব-৮ দুটি টিম।
ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান কর্তব্যরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।