পটুয়াখালীতে ঘুমন্ত গৃহবধুর হাতের কব্জি কেটে নিল দুর্বৃত্তরা!

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

সাইফুল ইসলাম, পটুয়াখালীঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিধপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড গোলখালী গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ঘুমিয়ে থাকা এক গৃহবধূর ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষ অবস্থায় ওই গৃহবধূকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মহিলা অর্থপেডিক্স ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল হতে গৃহবধূর বিচ্ছন্ন হওয়া হাতের কব্জি উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই পিতা-পুত্রকে আটক করা হয়েছে। আহত গৃহবধূর নাম আসমা বেগম (৩০)। সে মির্জাগঞ্জের গোলখালী গ্রামের মো. সোহাগ ফরাজীর স্ত্রী।

গৃহবধূ আসমা বেগম জানান, তার শ্বশুর বাড়ির জমি নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ সিকদারের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছে। সপ্তাহখানেক পূর্বে বিরোধীও ওই জমি থেকে গ্রহবধূ মাটি কাটে। এ নিয়ে তখন আজিজ সিকদারের ছেলে কবির সিকদারের সাথে ঝগড়া হয়।
গৃহবধূ বলেন, তার স্বামী টিউবওয়েল শ্রমিক। তিনি কাজের তাগিদে শরিয়তপুরে রয়েছেন। সোমবার রাতে এক ছেলে এবং দুই কন্যাকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ রাত দুইটার দিকে হাতে আঘাত অনুতি হলে চিৎকার করে লাফিয়ে উঠে দেখতে পাই তার ডান হাতের কব্জি মাটিতে পড়ে আছে। এসময় দু’জনকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছি। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র আজিজ সিকদারের ছেলে কবিরকে চিনতে পারেন।

এসময় তার চার বছরের সন্তান তাতিম ছুটে আসলেও কবির তাকেও মারধর করে। তবে অপরজন তরিঘরি ঘরে বেরিয়ে যাওয়ায় তাকে চিনতে পারেননি। পরে আসমার ডাক-চিৎকার সুনে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে আসমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় বিচ্ছিন্ন হওয়া গৃহবধূর হাতের কব্জি উদ্ধার করা ছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত আব্দুল আজিজ এবং তার ছেলে আল আমিন সিকদারকে আটক করা হয়। তবে অপর ছেলে কবির পালিয়ে গেছে। তাছাড়া এই ঘটনায় গৃহবধূর শাশুরী হোসনেয়ারা বেগম বাদী হয়ে তিন বাপবেটার সহ আজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।