তথ্য গোপন করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া এক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের মূল ভবনের চতুর্থ তলায় মেডিসিন-৩ ওয়ার্ড (পুরুষ) লকডাউন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ইউনিটের ২৪ জন চিকিৎসক ও নার্সকে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি সময়কে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
তিনি জানান, ১৩ এপ্রিল বাবুগঞ্জ উদয়রপুর এলাকার এক অজ্ঞান রোগীকে (৭০) তার আত্মীয়রা হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি করে যায়। তবে তার আত্মীয়রা ওই রোগীর জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্টের তথ্য গোপন রাখেন। গত বুধবার ওই রোগীর এক্স-রে রিপোর্ট আসলে সেই রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে করোনা ইউনিটে প্রেরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার ওই রোগীর টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এ ঘটনায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ও মেডিসিনের বিভাগীয় এবং ইউনিট প্রধানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই মেডিসিন ইউনিট লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
এদিকে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ এই ওয়ার্ডটি লকডাউন করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে চিকিৎসাধীন রোগীদের। তাদের বের হতে দেওয়া হচ্ছে না ওয়ার্ড থেকে। নতুন কোনো রোগীও ভর্তি করা হচ্ছে না সেখানে।
তা ছাড়া রোগী ও স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ওয়ার্ডটি লকডাউনের পড়ে সেখানে চিকিৎসক ও নার্সদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা সবাই ওয়ার্ডের বাইরে অবস্থান করছে। ফলে ইউনিটের রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ তাদের।