সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ত্রাণ বিতরণের প্রস্তাব করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাতের ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বলেছেন, ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি পুরোপুরি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দেওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ পাবেন। এতে সরকারের উদ্দেশ্যও সফল হবে।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে করোনাভাইরাসে মৃতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও করোনা আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা করেছেন জাপা নেতা রওশন এরশাদ।
তিনি বলেছেন, এই মহামারির মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সারাদেশে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় প্রশাসন নিরলসভাবে মানুষকে ঘরে রাখতে ও সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। গণমাধ্যম কর্মীরাও প্রতি মুহূর্তের খবর জানাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
ভেদাভেদ ভুলে হাতে হাত রেখে করোনা মোকাবিলায় সকলকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, করোনার কোনো প্রতিষেধক বের হয়নি। তাই সংক্রমণ এড়ানোর অন্যতম উপায় নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা। সবাই সচেতন হলে এই ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। তাই দেশবাসীকে বলবো, সরকারের নির্দেশনা পুরোপুরি মেনে চলুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, দেশব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় যত দ্রুত সম্ভব দেশের প্রতিটি উপজেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানরাও এগিয়ে আসতে পারেন। এ ছাড়া প্রবীণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অবিলম্বে চিকিৎসকদের পিপিই সরবরাহসহ সকল সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।