বরিশালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে অন্যান্য দিনের ন্যায় আজ ৪ এপ্রিল শনিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে বরিশাল নগরীতে ২ টি মোবাইল কোর্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অধিক মানুষের সমাগম করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে। জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ নাজমুল হুদা এবং মোঃ মারুফ দস্তেগীর।
এসময় নগরীর সদর রোড, নতুল্লাবাদ, চৌমাথা ও কাশীপুর, রুপাতলী, বিশ্ববিদ্যালয়, কর্নকাঠী, তালুকদার হাট এলাকায় মোবাইল কোর্টের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উক্ত কার্যক্রম পরিচালনায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ নাজমুল হুদা। এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে এবং এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এসময় রুপাতলী বাস স্টান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ টি চায়ের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করে চা বিক্রয় করার অপরাধের সংক্রামক রোগ (নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারা অনুযায়ী চায়ের দোকান মালিক মোঃ ইউসুফ কে ২ হাজার টাকা এবং দুই জন ক্রেতা মাহবুব ও নাছির উদ্দিন কে ৫০০ টাকা করে মোট ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই স্থানে মটর সাইকেলে দুই জন যাত্রী পরিবহন করার অপরাধের একই আইনে মোঃ কামাল কে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি দোকানে জনসমাগম করে আড্ডা দেয়ার অপরাধ একই আইনে তিন জন ব্যক্তি রুহুল আমিন, মোঃ বেল্লাল হোসেন, মোঃ এনাম হোসেন কে ৫০০ টাকা করো মোট ১৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পোলের হাট বাজারে একটি অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার অপরাধে একই আইনে মোঃ মিরাজকে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মোট আটজন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
প্রসিকিউসন অফিসার হিসাবে সহযোগিতা করেন স্যানিটারী ইন্সেপক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, বরিশাল সদর মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন এসআই রাজিব রেজা এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম। পাশাপাশি প্রাণসংহারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সর্বাবস্থায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে চলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে সচেতন করা। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান সদা সচেষ্ট এবং তাঁর নির্দেশনায় নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপরদিকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ মারুফ দস্তেগীর।
এসময় তিনি নগরীর চৌমাথা বাজারে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখে এবং জনসমাগম করার অপরাধের দন্ডবিধি ১৮৬০ অনুযায়ী একটি দোকান কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে একটি মিনি ট্রাকে করে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধের ট্রাকের চালককে একই আইনে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নবগ্রাম রোডে একটি দোকানে জনসমাগম করে আড্ডা দেয়ার অপরাধ একই আইনে তিন জন ব্যক্তিকে কে ৫০০ টাকা করো মোট ১৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নতুন বাজারে চায়ের দোকান খোলা রাখে এবং জনসমাগম করার অপরাধের একই আইনে একটি দোকান কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হাসপাতাল রোডে রাস্তার পাশে জনসমাগম করে আড্ডা দেয়ার অপরাধ একই আইনে তিন জন ব্যক্তিকে কে ৫০০ টাকা করো মোট ১৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম।
পাশাপাশি প্রাণসংহারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সর্বাবস্থায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে চলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে সচেতন করা। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান সদা সচেষ্ট এবং তাঁর নির্দেশনায় নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।