বরিশাল, ০৩ এপ্রিল- বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় শ্বাসকষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের উত্তর বিল্বগ্রাম গ্রামের কাগজিকান্দি ও সালেহবাগ গ্রামের ৬০ পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানিয়েছেন, শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) সকাল থেকে দুই গ্রামের ৬০ পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
কাগজিকান্দি ও সালেহবাগ গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তর বিল্বগ্রাম গ্রামের সালেহবাগ মহল্লার মো. হাসান ফকিরের (৫০) মৃত্যু হয়। হাসান ফকির দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। হাসান ফকির সালেহবাগ মহল্লার মৃত মহব্বত আলী ফকিরের ছেলে। তার মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে এলাকায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু বলেন, আতঙ্কিত লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সঠিক কারণ শনাক্তের দাবি জানান। সেই সঙ্গে দুই গ্রামকে লকডাউন করার দাবি তোলেন তারা। এ অবস্থায় গ্রামের ৬০ পরিবারকে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছি। তবে যতটুকু জেনেছি ওই ব্যক্তি করোনায় মারা যাননি। ছোটবেলা থেকেই তিনি অ্যাজমা রোগী। পাশাপাশি তিনি যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন। ব্র্যাকের সহয়তায় তিনি যক্ষ্মার চিকিৎসা করিয়েছেন। তারপরও এলাকাবাসী বলছেন সম্প্রতি ঢাকা থেকে ওই বাড়িতে বেশ কয়েকজন কর্মজীবী এসেছেন। তাদের কারণে হাসান ফকির করেনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যেতে পারেন।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মাজেদুল হক কাওছার বলেন, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি ছোটবেলা থেকে অ্যাজমা রোগী। আমাদের ধারণা করোনায় নয়; অ্যাজমায় তার মৃত্যু হয়েছে। এরপরও এলাকাবাসীর দাবির মুখে আমরা মৃতের নমুনা সংগ্রহ করেছি। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত জাহান বলেন, বিল্বগ্রাম গ্রামের কাগজিকান্দি ও সালেহবাগ গ্রামের ৬০ পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।