বরিশালে জনসমাগম ও অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার অপরাধে ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা।

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে অন্যান্য দিনের ন্যায় আজ ৩ এপ্রিল শুক্রবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে বরিশাল নগরীতে ২ টি মোবাইল কোর্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অধিক মানুষের সমাগম করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে। জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ জিয়াউর রহমান এবং মোঃ সাইফুল ইসলাম। এসময় নগরীর সদর রোড, নতুল্লাবাদ, চৌমাথা ও কাশীপুর, রুপাতলী, সাগরদী এলাকায় মোবাইল কোর্টের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উক্ত কার্যক্রম পরিচালনায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ জিয়াউর রহমান। এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

পাশাপাশি সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে এবং এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এসময় সাগরদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার অপরাধে সংক্রামক রোগ (নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারা অনুযায়ী শিকদার হার্ডওয়ার এর কর্মচারি আমিন কে ৫ হাজার টাকা। জাহিদ ট্রেডার্স এর মালিক মোঃ জাহিদুল ইসলাম কে ৩ হাজার টাকা এবং মা হার্ডওয়ার এর মালিক মোঃ শাহাদাত কে ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

পরে চৌমাথা বাজার এলাকায় দুটি পণ্যবাহী পিকাপ ভ্যানে যাত্রী পরিবহন করার দায়ে সংক্রামক রোগ (নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারা অনুযায়ী দুই চালক মোঃ রেজাউল কে ৪৫০০ টাকা এবং মোঃ মন্টু কে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় পাশাপাশি ২১ জন যাত্রী কে চারশত টাকা করে মোট ৮ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। মোট ২৮ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রসিকিউসন অফিসার হিসাবে সহযোগিতা করেন এসআই ফিরোজ আল মামুন এবং এসআই রফিকুল ইসলাম। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম।

অপরদিকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বরিশাল মহানগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ সাইফুল ইসলাম। এসময় তিনি নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দায়িত্বরত সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় সামাজিক দূরত্ব বিষয়ক সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে যাত্রী বহনকারি ঢাকাগামী দুইটি মাইক্রোবাস এবং একটি পিকআপ ট্রাক আটক করা হয়। দুটি মাইক্রো বাসে দুই পরিবারের সদস্যরা যাত্রী হিসেবে গাদাগাদি করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে তাদের আটক করা হয়। মাইক্রোবাস চালক ও দুই পরিবারের সদস্য এবং তার সহযোগী প্রত্যেককে দন্ডবিধির ২৬৯ ধারা মোতাবেক ১৫ জনকে এক হাজার টাকা করে সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

পাশাপাশি প্রাণসংহারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সর্বাবস্থায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে চলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে সচেতন করা। মোবাইল কোর্টে আইনানুগ সহযোগিতা প্রদান করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান সদা সচেষ্ট এবং তাঁর নির্দেশনায় নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।