দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত তিনটি মামলায় পিরোজপুরের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভিনকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ বাতিল করে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ আদালত। এর আগে তাদের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছিলেন জেলা জজ।
আজ মঙ্গলবার দুদকের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের নেওয়া জামিনের শেষ দিনে পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভিন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ মামলায় গত ৭ জানুয়ারী হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
এ ঘটনায় আদালত পাড়াসহ পুরো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। উত্তেজিত নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ আদালত পাড়াসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠি চার্জ করে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে শহরের সকল দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
এছাড়া জেলা জজের অপসারণ দাবি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য আদালত বর্জন করেছে পিরোজপুরের আইনজীবীরা। এ নিয়ে আইনজীবীদের সাথে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ বাতিল করে স্থায়ী জামিন দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ আদালত।
জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ উপজেলা) আসনের সাবেক এমপি এবং পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল এবং তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভিনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পৃথকভাবে ৩টি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভিনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি ২টিতে এককভাবে আসামি করা হয়েছে সাবেক এমপি আউয়ালকে। ৩টি মামলারই বাদী হয়েছেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর।