মুজিববর্ষ পালন নিয়ে সংসদ সদস্যদের বাড়াবাড়ি না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাতে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় বক্তব্যের সময় তিনি এসব বলেন। একাধিক সংসদ সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
বৈঠকে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের ভাষ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমতি না নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল তৈরি না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হওয়ার পর সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। একঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এ বৈঠকে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, গাজী শাহনেওয়াজ, মাজহারুল হক প্রধান, আ স ম ফিরোজ, ছোট মনির, মৃনাল কান্তি দাস প্রমুখ।
সূত্র জানায়, বৈঠকে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সংসদ চলাকালে সিনিয়র সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী বিশেষ করে তার আশপাশের সংসদ সদস্য অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সংসদে নিয়মিত না থাকলে তাদের চেয়ারগুলো যেন দূরে সরিয়ে দেয়া হয়’। অধিবেশন চললে তিনি নিয়মিত বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু দেখা যায় অনেকেই বৈঠকে থাকেন না। সংসদে বক্তব্য দেয়ার সময় আশপাশের চেয়ারগুলো ফাঁকা দেখা যায়।
টেলিভিশনে এই ফাঁকা চেয়ারগুলো দেখা যায়। এতে সংসদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জরুরি কোনো প্রয়োজন না থাকলে অধিবেশন চলাকালে সকলে যেন উপস্থিত থাকে এই নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ পালন করতে গিয়ে সংসদ সদস্যদের অতিরঞ্জিত কিছু না করার নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কী অবস্থায় আমাদের চলতে হয়েছে। ওই সময় অনেকের ভূমিকা আমি জানি। তাই মুজিববর্ষের কর্মসূচি পালনের নামে বেশি লাফঝাঁপ করা যাবে না’।
এ সময় তিনি নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেন। তিনি মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল নির্মাণ না করার নির্দেশ দেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল তৈরিতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমতি দেয়ার বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘কেউ মুর্যাল করতে চাইলে যেন ট্রাস্টের অনুমতি নিয়ে করেন। অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র যেন মুর্যাল তৈরি করা না হয়’।
বৈঠকে সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাস সংসদ সদস্যদের মুজিববর্ষের কর্মসূচি স্থানীয় সংগঠনকে সাথে নিয়ে পালনের অনুরোধ করে বলেন, ‘মুজিববর্ষ পালন করতে গিয়ে এমপিদের সঙ্গে যেন দলের দূরত্ব সৃষ্টি না হয়। দলকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি পালন করতে হবে’।