আফগানিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে আফগান এয়ারলাইন্স আরিয়ানা জানিয়েছে, তাদের কোন বিমান বিধ্বস্ত হয়নি। ফলে বিধ্বস্ত বিমানের ব্যাপারে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
কাবুলের গজনি প্রদেশের দেহ ইয়াক জেলায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সরকারি একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। ওই এলাকা তালেবানের শক্ত অবস্থান রয়েছে। তিনি বলেছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর যান্ত্রিক কারণে তাতে আগুন ধরে যায়।
গজনির প্রাদেশিক গভর্নর ওয়াহিউল্লাহ কালিমজাই বেসরকারি টেলিভিশন টোলোনিউজকে জানিয়েছেন, ‘এতে হতাহতের সংখ্যা বা বিমানটির নামের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।’
প্রথমে ওই বিমানটি আরিয়ানা এয়ারলাইন্সের বলে জানিয়েছিলেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। কিন্তু বিমান সংস্থাটি ওই খবর নাকচ করে দিয়েছে জানিয়েছে, তাদের সবগুলো বিমানই যথাযথভাবে গন্তব্যে পৌঁছেছে।
এরপরে আফগানিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, কোন বেসামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়নি। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাদের বাহিনী বিমানটির অবস্থান খুঁজে বের করতে পারেনি।
গজনির পুলিশ কমান্ডার আহমেদ খালিদ ওয়ার্দেক বিবিসিকে বলছেন, ‘হতাহতের ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি এবং বিমানটি দুর্ঘটনার পেছনে কি কারণ রয়েছে, তাও পরিষ্কার নয়। বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করেছে, এটা একটি বিমান ছিল এবং সেটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর হতে পারে বলে সেখানে ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে কাবুলে একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা নেটো বাহিনীর কোন বিমান বিধ্বস্ত হয়নি। সূত্র: বিবিসি