বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের সঙ্গে অপর একটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১ টার দিকে বৃহত্তর মেঘনা নদীতে মাঝেরচর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেলেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এখনও বিষয়টি নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।
কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টার ম্যানেজার ঝন্টু জানান, হুলারহাট থেকে ঢাকাগামী ফারহান লঞ্চটি কুয়াশার মধ্যে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের নীচতলা ও দোতলার অংশ দুমড়ে মুচরে যায় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।
যেহেতু মাঝ নদীতে ঘটনাটি ঘটেছে তাই আহত যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে লঞ্চের ব্যবস্থাপক বেল্লাল হোসেন জানান, ফারহান-৯ লঞ্চে কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকার কারণেই কুয়াশার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তলা ঠিক রয়েছে। তাই হতাহতদের নিয়ে লঞ্চটিকে নিয়ে চাঁদপুর হয়ে ঢাকার উদ্দেশে যেতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল নৌ-পুলিশ ও নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে না পারলেও চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমার মোবাইলে লঞ্চের স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
দুর্ঘটনাটি ঠিক কোন জায়গায় হয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত নই, কখনো তারা বলছে চাঁদপুরের মধ্যে আবার কখনো বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের কথা। তবে এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি ২ জন নিহত হওয়ার খবর মোবাইলে তাদের কাছ থেকে জেনেছি। যদিও এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নই। কারণ লঞ্চটি এখনো চাঁদপুর এসে পৌঁছায়নি।
এদিকে শাকিল নামে কীর্তনখোলা ১০ এর এক যাত্রী জানিয়েছেন ২ জন নিহত ও ৪ জন আহত হওয়ার বিষয়টি যাত্রীদের মুখে মুখে, তবে চিকিৎসক ছাড়া এ বিষয়ে কেউ নিশ্চিত হতে পারছে না।
অলি নামে অপর এক যাত্রী জানিয়েছেন, ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে চাঁদপুরে আহতদের নামিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য সহায়তা চাওয়া হয়েছে। লঞ্চটি চাঁদপুরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে ফারহান-৯ এর যাত্রী শাহিন জানিয়েছেন. সংঘর্ষে ফারহান-৯ লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাশাপাশি এ লঞ্চেও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।