আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক গাড়িবহরে বিস্ফোরণ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের কান্দাহার প্রদেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। শনিবার কান্দাহারের দান্দ জেলায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর টহলের সময় গাড়িবহরে জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানের রাস্তায় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এই বিস্ফোরণে কোনো হতাহত হয়েছে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার আফগানিস্তানের দক্ষিণের একটি শহরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে বিস্ফোরণ ঘটেছে। রাস্তায় তালেবানের পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কান্দাহার প্রদেশ পুলিশের মুখপাত্র জামাল নাসির বারকজাই এএফপিকে বলেন, দান্দ জেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। তিনি বলেন, বিদেশি সৈন্যরা কান্দাহার বিমানবন্দরের কাছে টহল দেয়ার সময় আক্রান্ত হয়েছেন।

ওই এলাকা মার্কিন সামরিক বাহিনী ঘিরে রাখায় সেখানে কোনো হতাহত হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে আমাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই। ন্যাটো সমর্থিত সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে বোমা বিস্ফোরণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

তবে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওপর হামলার পরপরই দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান। তালেবানের মুখমুপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, বিস্ফোরণে গাড়িটি ধ্বংস হয়েছে এবং গাড়ির সবাই মারা গেছেন।

আফগানিস্তানে তীব্র শীতের কারণে সাধারণত সহিংসতার ঘটনা কমে আসে। কিন্তু চলতি বছরে ব্যাপক তুষারপাত সত্ত্বেও তালেবান যোদ্ধারা দেশটির পার্বত্য অঞ্চলে তাদের অভিযান বৃদ্ধি করেছে। আফগান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চললেও অভিযান বন্ধ করেনি তালেবান।

চুক্তি এখনও স্বাক্ষর না হলেও এর বেশ কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে। এত বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের মোতায়েনকৃত ১৩ হাজার সৈন্যের অন্তত ৫ হাজার প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। তালেবানের নিরাপত্তার আশ্বাসে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে মার্কিন পাঁচটি ঘাঁটি থেকে পাঁচ হাজার সৈন্যকে ফিরিয়ে নেবে পেন্টাগন।

২০০১ সালে অক্টোবরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৪০০ জনের বেশি সৈন্যের প্রাণহানি ঘটেছে।

সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।