রাজধানীর তেজগাঁও থানার সামনের রাস্তায় বাসের ধাক্কায় বাবার মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আট বছরের শিশু ফারজানার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে এই ঘটনায় তার বাবা মিজানুর রহমানও গুরুতর আহত হয়েছেন।
তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চোখের সামনেই প্রাণপ্রিয় সন্তানের মৃত্যুর দৃশ্য দেখে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছেন তিনি।
তেজগাঁও থানার এসআই আলী হোসেন বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবা আহত হলেও শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় দায়ী বাসটি জব্দ ও এর চালক সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর চালক বাস ফেলে থানায় হাজির হন।
পুলিশ সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান গাজীপুরের জামিয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তিনি পরিবার নিয়ে ওই এলাকাতেই থাকেন। মিজানুর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় জুমার নামাজ পড়েন। এ সময় মেয়েও তার সঙ্গে ছিল। নামাজ শেষে ব্যক্তিগত কাজে মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঢাকায় আসেন। বিকেল ৪টার দিকে তারা বিজয় সরণি সিগন্যালে আটকে ছিলেন। সিগন্যাল ছাড়লে তাদের মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন একসঙ্গে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর একপর্যায়ে তেজগাঁও থানার সামনে দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় তারা মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এ সময় শিশুটির মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় বাসের চাকা। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
অবশ্য একটি শো রুমের ট্রেইনি অফিসার শাহীন ইয়াসির সাকিব নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মোটরসাইকেল চালক হঠাৎ লেন পরিবর্তন করতে গেলে বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তারা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। তখন পেছনে থাকা বাস সামনে এগোলে শিশুটি চাপা পড়ে। অল্পের জন্য চাপা পড়া থেকে বেঁচে যান মিজানুর।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর দেওয়ান পরিবহনের বাসচালক নিজেই তেজগাঁও থানায় গিয়ে হাজির হন। ঘটনার বিবরণ জানার পর তাকে আটক করা হয়।