এক সমাজকর্মীর পেটে লাথি মেরে পাকিস্তানে চলে যেতে বললো পুলিশ। শুধু নামের কারণে তিনি এই নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পেয়ে দেশটির উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেন তিনি।
ওই নারীর নাম সাদাফ জাফর। তিনি উত্তরপ্রদেশের একজন সমাজকর্মী। গত ১৯ ডিসেম্বর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে গেলে লখনউতে গ্রেফতার হন।
পুলিশি নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে এক নারী পুলিশ চড় মারেন। তখন থানায় উপস্থিত আরও এক পুলিশ এগিয়ে এসে আমার পেটে লাথি মারেন। আমাকে বলা হয় পাকিস্তানে চলে যেতে।’
সাদাফ জাফর এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘১৯ ডিসেম্বর রাতে আমাকে বলা হয়েছিল, আইজি সাহেব আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম আইজি সাহেব আমাকে সাহায্য করবেন, পরিবারকে খবর দেবেন। আমি ওই ইন্সপেক্টরের ঘরে গেলাম। তারপরে আমাকে নির্যাতন করা হয়েছিল। আমাকে মারতে একজন পুলিশকর্মীকে ডাকা হয়েছিল। আমার চুল ধরে আমার পেটে লাথি মেরেছিল।’
এই নারী সমাজকর্মী দাবি করেন, হজরতগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের জেল হেফাজতে থাকাকালীন কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে এলে তাকে আটকে রাখা হত। জেলের মধ্যে থাকাকালীন এই ঠাণ্ডাতেও আমাকে কম্বল ও খাবার দেওয়া হয়নি।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ফেসবুক লাইভে তুলে ধরছিলেন সাদাফ জাফর। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর সারা ভারতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।