মোদির দিল্লি পরীক্ষা ৮ ফেব্রুয়ারি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে এক দফায় ৮ ফেব্রুয়ারি। ভোট গণনা হবে তিনদিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি। এর আগে মনোনয়ন জমা নেয়া শুরু হবে ১২ জানুয়ারি। শেষ হবে ২১ জানুয়ারি। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে দিল্লি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে এসব তথ্য দেন ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।

কমিশনের এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লিতে নির্বাচনের দামামা বেজে উঠলো। ভারতের রাজধানী দিল্লির বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪৬ লাখ। ভোটগ্রহণ হবে ১৩ হাজার ৭৫০টি বুথে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানালেন, দিল্লিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন।

২০১৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টির মধ্যে ৬৭ আসনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৩টি আসন। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস কোনো আসনই পায়নি। কেজরিওয়ালের ক্ষমতায় থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

সম্প্রতি ঝাড়খন্ড বিধানসভার নির্বাচনে হেরেছে মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ২০১৮ সালে ভারতের মোট ২৯টি রাজ্যের ১৯টিতে বিজেপি হয় একা, নয়তো জোটের অংশীদার হিসেবে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু ঝাড়খন্ডের ক্ষমতা হারানোর মধ্য দিয়ে জোট বা একক হিসেবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন রাজ্যের সংখ্যা এখন ১৪।

এই ১৪ রাজ্যের অধিকাংশই ছোট রাজ্য (উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়, মণিপুর, সিকিম)। ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা বিজেপি বা এর জোটের শাসনাধীন থাকলেও ২০১৯ সালে অনেকটা দখল হারিয়ে তা এখন ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তাই মোদির জন্য দিল্লি এক বড় পরীক্ষা।

লোকসভা জয়ের ছয় মাসের মধ্যে প্রথমে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা এবং তারপর ঝাড়খন্ডে হারার পর বিজেপি এখন দিল্লি দখলের দিকে মনযোগী। কিন্তু দিল্লি দখলে রাখতে আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না। দিল্লিবাসীর নানা কাজ করে তিনি সর্বসাধারণের নায়কে পরিণত হয়েছেন।

কেজরিওয়াল গরিব ও মধ্যবিত্তদের বিনামূল্যে খাবার পানি দিচ্ছেন, ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ফ্রি, সবার দুয়ারে চিকিৎসা সেবা দিতে পাড়ায় পাড়ায় অগুনতি মহল্লা ক্লিনিক করেছেন। ব্যবস্থা করেছেন ওষুধের। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে গরিবদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছেন।