রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানের শীর্ষ জেনারেল সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদি। শুক্রবার ভোরে ড্রোন হামলা করে সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।
রাশিয়ান সম্প্রচার মাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা তার দেশের ওপর আক্রমণ। আইআরজিসির কুদস্ বাহিনীর প্রধান সোলেইমানি শুক্রবার ভোরে বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাওয়ার পথে গাড়িবহরে মার্কিন বাহিনী ড্রোন হামলা করলে সোলেইমানি তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ইরাকের সশস্ত্র শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস-এর (পিএমএফ) কমান্ডারসহ আটজন নিহত হয়েছেন।
ইরাকজুড়ে বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আদিল আবদুল মাহদি সোলেইমানির মৃত্যুর পর শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হত্যাকাণ্ড ইরাকের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং তার দেশের মর্যাদার ওপর এক বড় আঘাত।
তিনি বলেন, ইরাকে যে শর্তে মার্কিন সেনাদের থাকতে দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তা লঙ্ঘন করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ইরাকের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামকি স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই করা। এই হত্যাকাণ্ড সহিংসতাকে আরও উসকে দেবে, যা ইরাকে আরও একটি প্রলয়ঙ্কারী যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিতে পারে, যা পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে।
মাহদি আরও জানান, এই হত্যাকাণ্ডের যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাতে ইরাকের পার্লামেন্ট এক জরুরি অধিবেশন ডেকেছে। সেখানে দেশের করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের কঠোর প্রতিশোধ নেবে ইরান ও প্রতিরোধ বাহিনী।