চলে গেলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago
মাহমুদুল আমিন চৌধুরী

বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সিলেটের কৃতী সন্তান মাহমুদুল আমীন চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার সন্ধায় রাজধানীর নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে।

মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল গফুর চৌধুরী। মাহমুদুল আমীন সিলেট জেলা বারের সাবেক আইনজীবী। তিনি সিলেট এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ঢাকা সিটি ল’কলেজ হতে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার বাবা ছিলেন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

১৯৬৩ সালে আইনজীবী হিসেবে সিলেট জেলা বারে যোগ দেয়া মাহমুদুল চৌধুরী ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৯৯ সালের জুনে আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি লতিফুর রহমানের অবসর গ্রহণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ১১ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে মাহমুদুল আমীন চৌধুরীকে নিয়োগ প্রদান করেন। ২০০১ সালের ১ মার্চ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। ২০০২ সালের ১৭ জুন ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন মাহমুদুল আমীন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ শুনানির জন্য যে ডিসিপ্লিনারি প্যানেল গঠন করা হয়েছিল, সে প্যানেলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মাহমুদুল আমীন চৌধুরী।

এদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো শোক বার্তায় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী তার বিচারিক জীবনে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের সুনাম ও মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। দেশের একজন ন্যায়পরায়ণ বিচারক হিসেবে তার খ্যাতি দেশবাসী যেমন চিরকাল মনে রাখবে, তেমনি ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তার নাম। তার মৃত্যু সিলেটবাসী তথা জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

শোক বার্তায় তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।