এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখতে হাসপাতালে তথ্যমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখতে ও তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রবিবার বিকালে বিএসএমএমইউয়ের কেবিন ব্লকের ৫১১ নম্বর কক্ষে চিকিৎসাধীন এটিএম শামসুজ্জামানের শয্যাপাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তথ্যমন্ত্রী।

এটিএম শামসুজ্জামানের পাশে বসে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়ে মন্ত্রী তাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অসুস্থতার খবর শুনে চিন্তিত। প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে তাকে পাঠিয়েছেন বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। এ সময় দেশ বরেণ্য এই অভিনেতার চিকিৎসার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য উপস্থিত চিকিৎসকদের নির্দেশ দেন তথ্যমন্ত্রী। এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল জামানের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। চিকিৎসা সেবায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না- সে বিষয়েও তার সঙ্গে কথা বলে জানতে চান।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটিএম শামসুজ্জামান একজন কিংবদন্তি অভিনেতা। সরকার তার চিকিৎসার জন্য ইতোপূর্বে সহায়তা করেছে, আগামীতেও তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সে জন্য তাকে ধন্যবাদ। তবে আওয়ামী লীগ নিয়ে সমালোচনা বিএনপির মানায় না। কারণ, বিএনপি প্রতিষ্ঠিতা জিয়াউর রহমান রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়নে পরিণত করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়াও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে সে অবস্থা থেকে মুক্ত করেছে। আওয়ামী লীগে গণতন্ত্রের চর্চা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাছ থেকে বিএনপি’র রাজনীতি শেখা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ একটি গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বিএনপিতে সেটি লক্ষ্য করা যায় না। বিএনপি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন থেকে বেরিয়ে আসবে এটি জাতির প্রত্যাশা।’

সদ্য সমাপ্ত সম্মেলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইল ফলক। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলকে আরো গতিশীল ও সুসংগঠিত করা হবে।’

উল্লেখ্য, এটিএম শামসুজ্জামান একুশে পদকপ্রাপ্ত একজন অভিনেতা। তিনি পাঁচ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, অভিনেত্রী তারিন জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।