ত্যাগের বিনিময়ে হলেও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ মিমাংসার ফলে সমুদ্রের গুরুত্ব বহুগুণে বেড়েছে। প্রচুর মৎস্য ও খনিজ সম্পদে ভরপুর আমাদের জলসীমার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে আপনাদের (নৌবাহিনী) সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও এর সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

আজ রবিবার চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে নৌবাহিনীর রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে প্রশিক্ষণার্থী অফিসারদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জাতীয় প্রয়োজনে নৌবহিনীর সদস্যরা সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে কাজ করে থাকে। জাতীয় স্বার্থে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে ভবিষ্যতেও সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রশিক্ষণার্থী অফিসারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কঠোর প্রশিক্ষণ তারা শেষ করছেন, তা উৎকর্ষ অর্জনের সূচনা মাত্র। সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপনাদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নৌ বাহিনীকে আধুনিক ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। নৌ বাহিনীর জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

চলতি বছর বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ৬১ জন মিডশীপ ম্যান এবং ১১ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ ৭২ নবীন অফিসার কমিশন লাভ করেন। এরমধ্যে ৭ জন নারী এবং ২ জন মালদ্বীপের কর্মকর্তা রয়েছেন।

নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত এবং ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, নৌ সেনাদের জন্য ঢাকাসহ ২২টি অঞ্চলে বহুতল ভবণ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আন্তজার্তিক মানের সামরিক একাডেমি গঠন করা হয়েছে।

 

সদ্য কমিশন প্রাপ্তদের মধ্যে রাইয়ান রহমান চৌকস মিডশিপ ম্যান হিসাবে সোর্ড অব অনার, সাইদিস সাকলাইন নৌ প্রধান স্বর্ণপদক এবং সাব লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।