যোগ্যতার ভিত্তিতেই দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্থানে জাহাঙ্গীর কবির নানক

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

ত্যাগের পুরস্কার পেয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তৃণমূলের একজন কর্মী থেকে বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদে স্থান করে নিয়েছেন ৮০ দশকের ছাত্রনেতা বরিশালের এই কৃতি সন্তান।

৬৯ এর গণঅদ্ভুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের প্রতিটি আন্দোলনের অগ্রসৈনিক নানকের রাজনীতিতে হাতেখড়ি ৬৯ সালে বরিশালের আছমত আলী খান (একে স্কুল) ইনস্টিটিউটে পড়ার সময়। ওই সময় স্কুল ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নানক একই বছর একে স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ভর্তি হন। পরে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি নির্বাচিত হন। ৮১ সালে ছাত্রলীগের ব্যানারে বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। তবে দমে থাকেননি নানক। সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে ছাত্রলীগে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন তিনি।

পরে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুগ্ম সম্পাদক পদ হয়ে সাংগঠনিক দক্ষতায় যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত জাহাঙ্গীর কবির নানক। দুঃসময়েও যুবলীগকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে নানক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেও দলে তার অসামান্য অবদানের কারণে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে পদোন্নতি দেন। দলের ২১তম কাউন্সিলের আগে পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনেকেই তাকে সম্ভাব্য তালিকায় রেখেছিলেন। তবে দলের সভানেত্রী সাধারণ সম্পাদক পদ অপরিবর্তিত রাখলেও পদোন্নতি দিয়েছেন নিবেদিত প্রাণ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানককে। দলের দুই দিনব্যাপী ২১তম জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিন শনিবার দলের ১৯ সদস্যের যে প্রেসিডিয়াম তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে স্থান পেয়েছেন নানক। এবার নতুন করে যে ৩ জন প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তাদের একজন এই জাহাঙ্গীর কবির নানক।

নানকের ঘনিষ্ট বন্ধু বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিচুর রহমান দুলাল বলেন, তৃণমূলের একজন কর্মী থেকে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী পরিষদে স্থান পেয়ে নানক প্রমাণ করেছেন শেখ হাসিনা ত্যাগের মূল্যায়ণ করেন।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ এবং সব শেষ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী যোগ্যতার ভিত্তিতেই জাহাঙ্গীর কবির নানককে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে নিয়েছেন।

শুধু দলেই অবদান নয়, স্কুল জীবনেই ৬৯ এর গণআন্দোলনে অংশ নেন নানক। এরপর ৭১ সালে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সোচ্চার নানক একজন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা-১৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নানক। ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার নানককে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়। একই আসন থেকে ২০১৪ সালে দ্বিতীয় বার এমপি নির্বাচিত হন তিনি।