আজ ১০ ডিসেম্বর, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৪৮তম আত্মদান দিবস। মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ছয়দিন আগে ১০ ডিসেম্বর খুলনার রূপসা নদীতে শত্রুপক্ষের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন তিনি।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে এই বীরের পরিবারকে নতুন বাড়ি করে দিয়েছে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের জম্ম নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার রুহুল আমিন নগরে। তার স্মৃতি রক্ষায় ২০০৮ সালে সরকারিভাবে স্থাপন করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের পরিবারের দান করা ২০ শতক জমির ওপর নির্মিত হয় স্মৃতি কমপ্লেক্স।
রুহুল আমিনের ছোট ছেলে শওকত আলী পরিবার নিয়ে থাকতেন ১৯৮৫ সালে নৌবাহিনী কর্তৃক নির্মিত একটি ঘরে। পুরোনো ঘরটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে অনেক দিন থেকে। বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ নেই।
সরকারের এমন উদ্যোগে রুহুল আমিনের পরিবারের পাশাপাশি এলাকাবাসীও ভীষণ খুশি।
তবে, প্রতিষ্ঠার ১২ বছরেরও পূর্ণতা পায়নি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি। যার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা হতাশ হয়ে ফিরে যান।
গ্রন্থাগারে নতুন বই এবং জাদুঘর সংস্কার কাজ করা জরুরি বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক আলাউদ্দিন।
এছাড়া এলাকাবাসীর দাবি, এই কমপ্লেক্সকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানার সকল সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হোক।