অনলাইনে নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের দুই ছাত্রীর যৌন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেক প্রবাসী। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে এক কুয়েত প্রবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ছাত্রী ও তাদের সহযোগী এক বিকাশ এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এছাড়া তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরে অভিযোগকারীর মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের খানপুর গ্রামের মারজাহান আক্তার, সেনবাগের লেদুয়া গ্রামের শাহজাদী মজুমদার, নোয়াখালী পৌরসভার জয়কৃষ্ণপুরের বিকাশ এজেন্ট মোশারফ হোসেন মনু।
অভিযোগকারী ওই কুয়েত প্রবাসী জানান, তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রূপের জালে ফেলে কয়েক দফায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এই দুই ছাত্রী। একইভাবে আরও দুই প্রবাসী যুবকের কাছ থেকে তারা কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের ফাঁদে পড়ে অনেকে সর্বস্বান্ত হয়েছেন।
নোয়াখালী সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, কুয়েত প্রবাসী এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই দুই কলেজছাত্রী ও তাদের সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। পরে প্রতারণা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নোয়াখালীতে একাধিক নারী চক্র ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে ইউরোপ প্রবাসীর মেয়ে সেজে প্রবাসী যুবকদের বিয়ে করে ইউরোপে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এছাড়া বন্ধুত্ব করে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে সেসবের ভিডিও-ছবির মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে এসব চক্রের বিরুদ্ধে।
এসআই শাহ আলম বলেন, এসব চক্রের সদস্যরা মানবিক সহায়তার আবেদন, অসুস্থ রোগীর বানোয়াট ছবি দেখিয়ে সাহায্যের নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এজন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকগুলো আইডি ব্যবহার করে। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর আইডিগুলো বন্ধ করে দেয়।