মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে “মওলানা ভাসানী ও আমাদের সময়ের রাজনীতি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ৪ টায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার আয়োজনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার আহবায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে সভঅয় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দেলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম আমজাদ হোসেন, অ্যাড. সুভাষ চন্দ্র বিপ্র বেদান্তী।
গণসংহতি আন্দোলন জেলা সদস্য নবীন আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে “মুসলিম” শব্দটি বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক দল হিসাবে আত্ম-প্রকাশ করলেও বর্তমানে তারা অসম্প্রদায়িক ধারা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ইতিহাসের উপর একচ্ছত্র দখলদারিত্ব কায়েম করে মানুষের মস্তিষ্ককে দখল করতে চাচ্ছে। কৃষক-শ্রমিকদের অর্থনৈতিক মুক্তি না হলে দেশের মুক্তি সম্ভব নয়। মওলানা ভাসানীর পথ ধরেই বর্তমান সময়ের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। লড়াই ছাড়া বিদ্যমান ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য এস.এম আমজাদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজ নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা জনগণের সাথে প্রতারণার সামিল। অ্যাড. সুভাষ চন্দ্র বিপ্র বেদান্তী বলেন, অতীতের সকল সরকার নিজ স্বার্থকে বড় করে দেখেছে; দেশের স্বার্থকে নয়। মওলানা ভাসানীই একমাত্র জনগণের পক্ষের দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, অবিভক্ত ভারতবর্ষ থেকে পাকিস্তান ও তার পরবর্তীতে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের উত্থানের পেছনে মওলানা ভাসানীর অবদান অনস্বীকার্য।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদ বরিশাল জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ মহসিন উল ইসলাম হাবুল, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলার সম্পাদক অধ্যাপক জলিলুর রহমান, গণফোরাম বরিশাল জেলার সভাপতি অ্যাড. হিরণ কুমার দাস মিঠু প্রমুখ।