ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই মেধা তালিকায় ১২তম এক শিক্ষার্থী

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও মেধাতালিকায় এক পরীক্ষার্থীর অবস্থান ১২তম।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার মেধাতালিকায় এভাবেই অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর নাম আসার অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে এমন কাণ্ড দেখা গেছে।

uni1

অনুসন্ধানে দেখা যায়, সেই পরীক্ষার্থীর নাম মো. সাজ্জাতুল ইসলাম। বাবার নাম মো. রেজাউল করিম। তার ভর্তি পরীক্ষার রোল ২০৬০৫০। গত ৮ নভেম্বর সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হওয়া ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় একজন আবেদনকারী ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় সিট প্ল্যান অনুযায়ী তার সিট পড়েছিল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কোটবাড়িতে।

কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার হলে যে উপস্থিতির তালিকা সরবরাহ করা হয় সেখানে শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরের ঘরে তার স্বাক্ষর নেই। তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। অথচ ১২ নভেম্বর ওই ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় ২০৬০৫০ রোলধারী সাজ্জাতুল ইসলাম ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এর মেধাতালিকায় ১২তম স্থান অধিকার করেছেন।

অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নাম মেধাতালিকায় চলে আসার ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এ ব্যাপারে ফোনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি প্রতিবেদককে রোববার তার অফিসে যেতে বলেন।

uni1

এ ব্যাপারে ওই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ড. শামিমুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে বলেন, মেধা তালিকায় নাম আসলেও এ শিক্ষার্থী তো ভাইভা দিতে আসেনি। ভাইভা দিতে না আসলেও পরীক্ষায় অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর রোল কীভাবে মেধাতালিকায় চলে এলো? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এবং পরে তার অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন।

অন্যদিকে এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২০১৯-২০ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের জানান, বরাবরের মতো ভর্তি পরীক্ষায় আমরা সর্বাধিক স্বচ্ছতা রাখার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়টি ভুলবশত হয়ে থাকতে পারে। কারণ যেহেতু সে পরীক্ষা দেয়নি সেহেতু তার ‘ওএমআর’ শিট ছাড়া ফলাফল আসার কথা না। তবে ফলাফল প্রস্তুতের ব্যাপারটি ইউনিট ভিত্তিক দায়িত্বশীলদের কাজ। তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবো।

ফলাফলে এরকম আরও ‘অসঙ্গতি’ আছে কীনা জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জানান, সেটা আমি বলতে পারবো না। কারণ ফলাফল প্রস্তুতের সময় আমি বা উপাচার্য ছিলাম না। ফলাফল ইউনিট প্রধানরাই করেছে। তবে এরকম ভুল থাকলে তা বেরিয়ে আসবে।