গরীবের জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান বললেন ষাটোর্ধ্ব লিয়াকত আলী।

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

গতকাল ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ষাটোর্ধ্ব লিয়াকত চাচাকে একটি ভ্যানগাড়ি ও বিক্রয় করার জন্য পূঁজি স্বরূপ ৫ হাজার টাকার কলা কিনে দেন জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান। এ সহযোগিতা পেয়ে কেঁদেই ফেললেন ষাটোর্ধ্ব লিয়াকত চাচা বললেন, গরীবের জেলা প্রশাসক আমাগো ডিসি সাহেব নইলে আমারে এই সহযোগিতা করে। আমি তার জন্য দোয়া করি সে যেনো আরো বড় হয়। বয়স ষাটোর্ধ্ব জীবনের তাগিদে এখনো নিজেকে কর্ম করে খেতে হয়। লিয়াকত চাচার সংসারে দুই মেয়ে আর তার স্ত্রী, মেয়েদের বিবাহ দিয়েছে তার এখন স্বামীর সংসারে থাকে তারা মা বাবার তেমন খোঁজ খবর নেয়না। তাই লিয়াকত চাচাকেই তার পরিবারের একমুঠো আহারের জন্য কাজ করতে হয়। বয়সের ভারে পা যেন আর চলতে চায় না। দুজনের তিনবেলা তিনমুঠো খাবার জোগাড় করতে পায়ে হেঁটে কলা বিক্রি করেন নগরীর পলাশপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় লিয়াকত আলী। স্বপ্ন ছিল ভ্যানগাড়িতে করে একটু আরামে কলাসহ বিভিন্ন ফল বিক্রয় করা। কিন্তু এটা যে চাচা’র পক্ষে স্বপ্ন দেখা ছাড়া আর কিছুই না। মাসখানেক পূর্বে লিয়াকত চাচা কলা বিক্রি করতে এসে একপর্যায়ে কথা বলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রীর সাথে। সভানেত্রীসহ কয়েকজন বিষয়টি নিয়ে অালোচনা করেন বরিশালের জেলা প্রশাসকের সাথে। তখন জেলা প্রশাসক বিষয়টি শুনে লিয়াকত চাচা’কে একটি ভ্যানগাড়ি ও কলা ক্রয়ের জন্য পূঁজির প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। যেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ি গতকাল জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মহিলা পরিষদের পক্ষ হতে ভ্যানগাড়ি ও জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ হতে পাঁচ হাজার টাকার কলা কিনে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান নিজ হাতে ভ্যানগাড়ি ও কলা তুলে দেন বৃদ্ধ লিয়াকত চাচা’র হাতে। এ সহযোগিতা পেয়ে লিয়াকত আলীর চোখেমুখ ফুটে ওঠে হাসি। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবেশন অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল সাজ্জাদ পারভেজ, মহিলা পরিষদের সভাপতি রাবেয়া খাতুন, সহসভাপতি পুস্প চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সহ সমিতির বিভিন্ন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জয় হোক মানবতার লিয়াকত চাচা’র ভ্যানের চাকা সচল থাকুক সব সময়।