সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের দিকে এগিয়ে আসছে অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ইতোমধ্যে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে প্রবেশ করেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ ও সাগরদ্বীপ হয়ে স্থলভাগে ঢুকে পড়ে বুলবুল।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়াটি শেষ হবে। তারপর বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দিকে এগিয়ে আসবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। পশ্চিবঙ্গের স্থলভাগে প্রবেশকালে বুলবুলের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। তবে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর কিছুটা শক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে বুলবুল। ইতোমধ্যে স্থলভাগে ঢোকার পর অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় থেকে শুধুমাত্র ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশের উপকূলের আরও কাছে চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। আজ মধ্যরাতে যেকোনো সময় এটি আঘাত আনতে পারে। ইতোমধ্যে উপকূলের ২১০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে এর প্রভাব পড়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক আয়েশা খানম এসব তথ্য তুলে ধরে জানান, এখন বলা যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রভাগ উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে। তবে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমেছে।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে অবস্থান করছিল ২৫৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪৩৫ ও চট্টগ্রাম থেকে ৪২৫ কিলোমিটারের মধ্যে।
আয়েশা খানম বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে, যা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবদুল মান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে এসে আঘাত হানলে এর গতি কমতে থাকবে। সাধারণত ভূখণ্ডে বাধা পেয়ে এর গতি কমে আসে।