ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বইছে। পটুয়াখালীর কোথাও দমকা হাওয়া না বইলেও জেলার উপকূলজুড়ে হালকা-মাঝারি বৃষ্টিপাত চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে।
এদিকে জানমালের ক্ষতি এড়াতে দুর্গম এলাকার বাসিন্দারা আশ্রয় নিচ্ছেন সাইক্লোন শেল্টারে। শনিবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ৬৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৭ জন আশ্রয় নিয়েছে।
সাইক্লোন সেল্টারে অবস্থানরত সাধারণ মানুষের খোঁজ-খবর নিতে বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হাসান। এ সময় সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রিতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, জেলার দুর্গম এলাকা বা ঝুকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ৬৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৭ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য বিভাগ, নৌ ও সেনাবাহিনী।
তিনি আরও জানান, জেলার ৬৭৯টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেয়া হয়েছে। মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে ৬ হাজার ৫২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক। দুর্যোগে মোকাবিলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩শ মেট্রিক টন চাল, ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১৬৬ বান্ডিল টিন এবং চার হাজার কম্বল মজুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।