গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানের জন্য বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এজন্য চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য খাতে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ লক্ষ্যে কমিটির সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।শনিবার পিরোজপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ফারুক আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর সিকদার, ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।এর আগে মন্ত্রী স্বরূপকাঠি পৌর গোরস্থান ও শ্মশান ঘাটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে যোগ দেন।সেখানে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।পরে মন্ত্রী জাতীয় সমবায় দিবসের র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন। সব শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘দলে থাকবেন আর দলের সিদ্ধান্ত বিরোধী কাজ করবেন, তা হবে না। অনুপ্রবেশকারীকে দলে স্থান দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা রাত-দিন পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়ন করে চলছেন। এ ধারা অব্যহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।’

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

নতুন সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেছেন, আপনারা কেউ জরিমানা দেবেন না, পুলিশকে জরিমানা আদায়ের সুযোগ দেবেন না। পুলিশও মামলা করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলতে চায় না।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠি শহরের প্রবেশদ্বার কৃষ্ণকাঠি বিশ্বরোড মোড়ে নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, সচেতন করতেই আইন কঠোর করা হয়, কাউকে বিপদে ফেলতে না। যে দেশের আইন যত কঠোর এবং যে আইনের শাস্তি যত গুরুতর সে অপরাধও অনেক কম।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন আইনের গতিতেই চলবে, আমরা আইন রক্ষা করবো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এমএম মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর তরুন কর্মকার, আন্তজেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ, পুলিশ ইন্সপেক্টর আবু তাহের মিয়া, মুরাদ আলী, মামুন হোসেন, হাবিবুর রহমান, আদেল আকবর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে বিশ্বরোডে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন চালকদের কাগজপত্র যাচাই করেন এবং বর্তমান আইন মেনে চলতে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।