প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাপন বললেন, সব দাবি মেনে নেব

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

১১ দফা দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। সোমবার বিকেলে সাকিব-তামিমদের ওই ঘোষণার পর উত্তপ্ত ক্রিকেটাঙ্গন। মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ক্রিকেটারদের আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পেয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর পরই প্রশ্ন ওঠে, উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান হবে কীভাবে? কে নেবে মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব?

আজ বুধবার সকাল থেকেই খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক এবং জাতীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। তাকে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন মধ্যস্থতা করার। তবে আজই বুধবার দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিসিবি সভাপতি পুরো পরিস্থিতি বর্ণনা করেন। এ সময় বিসিবি সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধিনায়ক, বর্তমানে বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিকেল ৩টায় গণভবন থেকে বের হয়ে আসেন বিসিবি সভাপতি। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের সব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’

‘আমরা বলছি, সবগুলো দাবি মানার মতো, এটা কোনো সমস্যাই না। আসলেই শেষ। তারপরও আমরা যোগাযোগ করছি, তারা ফোন ধরছে না। ওরা কোনো যোগাযোগ করছে না। তাহলে করবটা কী বলেন?’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘উনি তো সবই জানেন। গত পরশুদিনও উনার সাথে ছিলাম। কাল সকালে মাশরাফি এসেছিল। এখন আমি উনাকে জাস্ট জানাতে আসলাম আপডেট।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা আবার তাদের ডেকেছি। আমরা যেহেতু কন্টাক্ট করে পারছি না। সেহেতু আমাদের সিইও তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছে হোয়াট টু ডু। আমরা জানিয়েছি, তারা যেন আমাদের সাথে বসে যে কোনো সময়।’

আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে সমাধান তো দেওয়াই। আমি তো কালকেই বললাম, ওদের কোন দাবিটা আছে? এখানে এমন কোনো দাবি নেই যে- যেটা মানা যাবে না। দাবি নিয়ে আসলেই সাথে সাথে শেষ। ওদের আসতে হবে তো।’

বিসিবি সভাপতি মনে করেন, ধর্মঘট থেকে সরে না আসলে ভারত সফরটা সঙ্কটের মুখে পড়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘ওরা কি এই জিনিসটা বোঝে না যে, এই ট্যুরটায় গেলাম না, তাতে কী হবে? বাংলাদেশ যদি স্যাংশনে পড়ে! খেলা বন্ধ হয় এক বছরের জন্য তাতে খেলোয়াড়দের কী লাভ? জিনিসটা তো খেলোয়াড়দের আগে বুঝতে হবে।’

আজও নাজমুল হাসান পাপন অভিযোগ করেন, এ আন্দোলনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে এই ধরনের সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারে। আমার ধারণা, বেশিরভাগ প্লেয়ারই হয়ত জানে না। এটার মধ্যে ডেফিনেটলি একটা ষড়যন্ত্র আছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারও কাছে কিছু না বলে খেলা বন্ধ করবে কেন? এটা তো ক্রিকেটকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। এটা তো হতে পারে না। যে কেউ বোঝার কথা। কোনো দাবি না দিয়ে আগে খেলা বন্ধ! এটা তো হতে পারে না। এটা পৃথিবীর কোথাও নেই। এটার মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো একটা ব্যাপার আছে।’