পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, বন্যা মোকাবিলায় দেশের সব জেলার ৪৪৮টি নদী-খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আরও ৫ শত নদী-খাল খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশে আগামীতে বন্যা কমবে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বরিশালে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাশের দেশের বৃষ্টির পানি আমাদের দেশের নদ-নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। কিন্তু নদী-খালের নাব্যতা না থাকায় ওই পানিতে বন্যা হয়। এ কারণে দেশের ৬৪ জেলার নদী-খালের নাব্যতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম দফায় ৪৪৮টি নদী-খাল খনন করা হচ্ছে। পরে আরও ৫ শত নদী-খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে দেশে বন্যা ও ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কমবে।
‘চলতি বছর দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা ও নদী ভাঙন দেখা দিলে এগুলোর বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নদী ভাঙন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাধ্যমতো চেষ্টা চলছে। এছাড়া অন্য যেসব স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়াও পুরো দেশে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
এ সময় জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান এবং পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশায় কর্মরতদের অর্ধ শতাধিক সন্তান যারা ২০১৯ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে তাদের বৃত্তি দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
এরপর তিনি বরিশাল নগরের হাসপাতাল রোডস্থ পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটি প্রকল্পের জায়গা পরিদর্শন করেন।