ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা ছাড়া বাড়ছে দেশের প্রায় সব নদ-নদীর পানি। ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বুধবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৯৩টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ৫৬টি পয়েন্টের পানি বৃদ্ধি ও ৩৭টির হ্রাস পেয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ৪টি নদ-নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকি সবকটি নদ-নদীর পানি সবকটি পয়েন্টে বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ব্যতীত দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ও সুরেশ্বর পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার, গড়াই নদীর পানি কুমারখালি পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার, গঙ্গা নদীর পানি হার্ডিঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার এবং মেঘনা নদীর পানি মেঘনা ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও চাঁদপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯ পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ এলাকায় ২৪৫ মিলিমিটার, ছাতকে ১৯৯ মিলিমিটার, জাফলংয়ে ১৩৭ মিলিমিটার, সিলেটে ১৩২ মিলিমিটার, কানাইঘাটে ১১৩ মিলিমিটার, পাবনায় ৮১ মিলিমিটার, ঢাকায় ৭৫ মিলিমিটার ও বরিশালে ৭৩ মিলিমিটার এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।