শঙ্কাই অবশেষে সত্যি হলো। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে মাঠেই গড়াতে পারলো না। ফলে এককভাবে সিরিজের ট্রফি হাতে নিতে পারলো না কোনো দলই। যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুসারে জানাই ছিল, যদি ফাইনাল না হয় তবে দুই দলকেই যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। যেহেতু ফাইনালের জন্য আলাদা করে কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি।
খেলা শুরুর সময় ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়, ছয়টায় টস। বৃষ্টির কারণে সময়মতো কিছুই করা যায়নি। তারপরও একটা আশা ছিল, রাত ৯টা ৪০ মিনিটের মধ্যে খেলা শুরু করা গেলেও কমপক্ষে ৫ ওভার করে খেলা হবে, এমন জানানো হয়েছিল।
শেরেবাংলায় বৃষ্টির বেগ বেশি ছিল না, টিপ টিপ করে পড়ছিল। ইলশে গুঁড়ি যাকে বলে। তবে একটানা আস্তে আস্তে বৃষ্টি হচ্ছিলই। নয়টার দিকে একবার বৃষ্টি কিছুটা বন্ধ হয়।
কিন্তু মাঠ খেলা শুরু করার মতো উপযুক্ত ছিল না। তাই সবকিছু দেখে ম্যাচ পরিত্যক্তর ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
রাত নয়টায় ম্যাচ বাতিলের ঘোষণা
বৃষ্টি আর বন্ধ হলোই না। এর মধ্যেও রাত সাড়ে আটটার কয়েক মিনিট আগেই টিম বাংলাদেশ মাঠের পশ্চিম উত্তর দিকে গোল হয়ে ফুটবল খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আফগানরা তখনো ড্রেসিং রুমে।
ঘড়ির কাটা রাত ৯টা ছোঁয়ার মিনিট খানেক আগে দুই আম্পায়ার শরফুদৌলা ইবনে শহিদ সৈকৎ আর মাসুদুর রহমান মুকুল মাঠে ঢুকলেন। মাঠ থেকে শেরে বাংলার গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে সোজা গিয়ে ঢুকলেন আফগানিস্তানের ড্রেসিং রুমের দিকে।
বোঝাই গেল, রশিদ খানের দলকে ম্যাচ বাতিলের খবরটা আনুষ্ঠানিকভাবে দিতেই তারাআফগানিস্তানের ড্রেসিং রুমে গেলেন। এরপর আসলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামনে। আম্পায়ারদের সাথে কথা বলেই টিম বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা লাইন করে হাঁটা দিলেন আফগান ড্রেসিং রুমের দিকে।
খেলা শেষে একদল যখন আরেক দলের সাথে সৌজন্যতা বিনিময় করে, করমর্দন করে- ঠিক তেমন ভাবে দু দলের খেলোয়াড়রা করমর্দন আর সৌজন্যতা বিনিময় করতে শুরু করলেন। ঐ পর্ব শুরু হবারও মিনিট দেড়েক পরে শেরে বাংলার জায়ান্ট স্কিনে লেখা উঠলো ম্যাচ বাতিল।