নতুন আঙ্গিকে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ: দ্বিতীয় অধ্যায়’

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

শিক্ষার্থীদের ভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্টআপকে স্বাগত জানাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া প্রকল্প)’ এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর আওতাধীন দেশের শীর্ষস্থানীয় যুব প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলা’ এর সহযোগিতায় যৌথ উদ্যোগে আরো একবার শুরু হলো ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় অধ্যায়। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করতে পারবে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।

উদ্ভাবনকে স্বাগত জানিয়ে ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ স্টার্টআপ বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে এগিয়ে চলা ‘আইডিয়া প্রকল্প’ এবং ‘ইয়াং বাংলা’-র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। গত মে ২০১৯- এ ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ এর ১ম অধ্যায় সফলভাবে সম্পন্ন হয় যেখানে ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইন থেকে ১২০টি প্রকল্প বাছাই করার পরে উদ্যোক্তা, উদ্ভাবন এবং স্টার্ট-আপ বিষয়ক দুই দিনের প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয় এবং পরবর্তীতে এদের মধ্য থেকে মোট ৩০টি প্রকল্প আইডিয়া প্রকল্পের অফিসিয়াল ‘সিলেকশন কমিটি’র মুখোমুখি হয়। সবশেষে বিজয়ী হিসেবে সেরা ১০টি স্টার্টআপকে ১০ লাখ টাকা করে সরাসরি অনুদান প্রদান করার পাশাপাশি বাকি ২০টি স্টার্টআপকে গ্রুমিং এর জন্য বাছাই করা হয়।

এবারও বিজয়ী ১০ স্টার্টআপকে অনুদান দেয়া হবে ১০ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে শীর্ষ ৩০-এ থাকা অপর ২০ স্টার্টআপও আইডিয়া প্রকল্প থেকে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ পাবে। প্রশিক্ষণ শেষে স্টার্টআপগুলো প্রস্তুত হলে তাদের জন্যও অনুদান প্রদান করবে আইডিয়া প্রকল্প।

‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ: অধ্যায় দুই’-এর জন্য সারা দেশের ২৫টি ভেন্যুকে বাছাই করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের যে কোন শিক্ষার্থী তাদের উদ্ভাবন নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। ১৮ বছরের কম বয়সের অংশগ্রহণকারীদের জন্য শর্ত হল স্টার্টআপ দলের যে কোন ১ সদস্যের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।

‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ এর দ্বিতীয় অধ্যায়ে অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য ভিজিট করতে হবে- (নিবন্ধন) এছাড়া নিবন্ধনের লিংকটি স্টার্টআপ বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটেও ( নিবন্ধন ) পাওয়া যাবে।

এবার বাছাইকৃত ভেন্যুগুলো হলো- চট্টগ্রাম-১ (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), চট্টগ্রাম-২ (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), রাঙ্গামাটি (রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), রাজশাহী (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), দিনাজপুর (হাজী মুহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), রংপুর (বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়), সিলেট (শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), যশোর (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), খুলনা (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), কুষ্টিয়া (ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়), বরিশাল (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়), পটুয়াখালী (পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), নোয়াখালী (নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), পাবনা ( পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), কক্সবাজার (কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), নাটোর (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), ঢাকা দক্ষিণ (বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), ঢাকা নর্থ (ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), সাভার (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), গাজীপুর (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়), ময়মনসিংহ (বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), টাঙ্গাইল (মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), গোপালগঞ্জ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), কুমিল্লা (কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়) ও ফেনী (ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়)।

২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার অন্যতম স্তম্ভ হল একাডেমিক শিক্ষাকে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগগুলোর সাথে যুক্ত করা। জাতীয়ভাবে ইনোভেশন কালচার ও অন্ট্রাপ্রেনরিয়াল সাপ্লাই চেইন গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের ভিত্তি গঠন করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।