অনলাইন ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের এনামুল হক বেপারীর সঙ্গে পরিচয় হয় ২২ বয়সী বয়স ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীর।
এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় ৪ বছর ধরে চলে প্রেম। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এনামুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। এরপর বিয়ের জন্য বললে এনামুল তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। ওই যাত্রী যখন আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন এনামুল কৌশলে ওষুধ খাওয়ায়। এতে তার গর্ভপাত ঘটে। এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এনামুল।
ওই ছাত্রী কোনো উপায় না দেখে গত ২১ মে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলায় এনামুল আদালতে হাজির হলে আদালতের বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। মামলা থেকে রেহাই পেতে এনামুল গত ৭ আগস্ট ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে জামিনে মুক্তি পান। জেল থেকে বের হয়ে এনামুল ফের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
অবশেষে শুক্রবার দুপুরে এনামুলের খোঁজে তার গৌরনদী উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হন ওই কলেজছাত্রী। এসময় এনামুলের বাড়ির লোকজন বসত ঘরে তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েন। তালাবদ্ধ ওই বাড়ির সামনেই অনশন শুরু করেন ওই কলেজছাত্রী। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এনামুলের বাড়ির সামনে কৌতুহলী জনতা ভিড় করতে শুরু করে। কলেজছাত্রী সেখান থেকে তাড়িয়ে দিতে কয়েকবার মারধরের চেষ্টা করেন এনামুলের স্বজনরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
ওই কলেজছাত্রীর বাড়ি ঢাকার ফার্মগেট এলাকায়। এনামুল হক বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের আঃ ছালাম বেপারীর ছেলে।
ওই কলেজছাত্রী জানান, এখন আর কোথাও ফিরে যাওয়ার পথ নেই। সব পথই বন্ধ। এনামুল স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করলে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই।
তার অভিযোগের বিষয়ে জানতে এনামুল হকের ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গৌরনদী থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. তৌহিদুজ্জামান জানান, ওই কলেজছাত্রী থানায় এসে তার অভিযোগের কথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।