কে খুলল সোহেল তাজের স্যুটকেস

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বিমানবন্দরে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের স্যুটকেসের তালা ভাঙার ঘটনায় হ্যান্ডেলিং সেবাদানকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। কী কারণে তদন্ত কমিটি করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাব মেলেনি সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও।

রোববার সোহেল তাজ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে এ ঘটনার শিকার হন। শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছার পর কেউ একজন তাকে না জানিয়েই তার স্যুটকেসের তালা ভেঙে তল্লাশি চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিভিল এভিয়েশন। এখানে বিমানের কিছুই করার নেই।

এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সোহেল তাজ। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ঢাকা বিমানবন্দরে কেউ একজন আমার স্যুটকেসের তালা ভেঙেছে এবং আমার অনুমতি ছাড়াই সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে। স্যুটকেসে আমার বাবাকে নিয়ে লেখা কিছু বই ছিল।’ রোববার তিনি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে স্যুটকেসটি খোলা অবস্থার ছবি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন।

কে খুলল সোহেল তাজের স্যুটকেস

এ বিষয়ে বিমান শ্রমিক লীগ (সিবিএ) সভাপতি মশিকুর রহমান বলেন, ‘সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজকে একজন দায়িত্ববান মানুষ মনে করেই বলছি, ওনার স্যুটকেসটি ঢাকা নাকি নিউইয়র্কে তল্লাশি করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। আমাদের বিমানবন্দরে ওনি একজন ভিআইপি। কিন্তু নিউইয়র্কের জেএফকে-তে কিন্তু সাধারণ মানুষের স্যুটকেসের সঙ্গেই ওনারটা তল্লাশি করতে পারে। তাছাড়া ওখানকার সিকিউরিটির সন্দেহ হলেই তালা ভেঙে তল্লাশি চালায় বলে আমরা জানি। সুতরাং একজন দায়িত্ববান দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে তিনি সন্দেহ করে নিজের দেশের বিমানবন্দরকে খাটো করতে পারেন না।’

মশিকুর রহমান দাবি করে বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পৃথিবীর অনেক উন্নত বিমানবন্দরের চেয়ে নিশ্ছিদ্র।

উল্লেখ্য, সোহেল তাজ ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। কিন্তু একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।