বরিশাল ট্রাফিক বিভাগ ই- ট্রাফিক প্রসিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টে প্রদ্বত্তিতে প্রবেশ করার পূর্বে ২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে ৩১ই আগস্ট পর্যন্ত জনবল সংকট থাকা সত্বেও তারা গত ৭ মাসে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস স্টেশন, রুপাতলী বাস স্টেশন,লঞ্চঘাট,কাকলরিমোড় সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কের যান-বাহন গাড়ী চালকদের সচেতন করা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষে কাগজ পত্র ও ফিটনেস বিহিন যান-বাহনে অভিযান চালিয়ে ম্যানুয়াল সনাতন পদ্বত্তিতে ২২ হাজার ২ শত ২০ টি মামলা দায়ের করা হয়।
ইতি মধ্যে ২১ হাজার ৯ শত ৪৫ টি মামলা জরিমানা (নিস্পত্তি ) করার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব খ্যাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগ ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ১ শত ৩ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
টি.আই (প্রশাসন) সামসুল আলম জানান, বরিশাল নগরীতে একদিকে জনসংক্ষ বৃদ্বির পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তর বেড়েছে সেই সাথে বেড়েছে যান-বাহন সে তুলনায় নগরীর সড়কগুলোর সে পরিমান প্রস্থ বাড়েনি।
অন্যদিকে এই বিশাল বরিশাল মেট্রো নগরীর সড়কগুলো নিয়ন্ত্রন করতে যে পরিমান ট্রাফিক বিভাগে জনবল থাকা দরকার তা তাদের এই মুহুর্তে নেই।
তিনি আরো জানান বরিশাল ট্রাফিক বিভাগে তাদের ২৫ জন সার্জেন্টের স্থানে কাজ করছে ১৮ জন সার্জেন্ট অন্যদিকে ১ শত ১৩ জন কনষ্টেবলের স্থানে কাজ করছে মাত্র ৯৭ জন যার ফলে অনেক সময়ে তাদের সদস্যরা বিভিন্ন সড়কে অতিরিক্ত সময় দায়ীত্ব পালন করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
এছাড়া নগরীতে প্রায় সময় রাজনৈতিক দল সহ সুশিল সমাজ,উন্নয়ন সংগঠন সদস্যরা নগরীর সড়কে মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন এসময়ে সড়কে প্রচন্ড জ্যামের সৃষ্টি হয় যা নিয়ন্ত্রন করতে ট্রাফিক সদস্যদের হিমসিম খেতে হয়।
অপরদিকে শহরের সড়কের পাশে রয়েছে স্কুল-কলেজ যা ছুটির পর শিক্ষার্থী ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য উক্তস্থানে বাড়তি সদস্যদের কাজ করতে গিয়ে অন্য স্থানে সদস্যদের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
টি.আই সামসুল আলম আরো বলেন কয়েকদিন আগে ট্রাফিক কার্যালয় পরিদর্শন করে গেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম বার) স্যার।
স্যার সকল সদস্যদের সাথে প্রানখোলা ভাবে মতামত ব্যাক্ত করেন আসা করা আমাদের উপ-পুলিশ কমিশনার স্যার (ডিসি) ট্রাফিক খায়রুল আলম স্যার ট্রাফিক বিভাগের সংকট নিরশন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এদিকে গত ৫ ই আগস্ট থেকে বরিশাল মেট্রো ট্রাফিক বিভাগকে ই-ট্রাফিক প্রশিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টাম চালু করার ফলে ট্রাফিক সদস্যরা ডিজিটাল ডিভাইজে মামলার কার্যক্রম শুরু করেছে।
ফলে যান-বাহনের চালকরা ইউক্যাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবে এতে পূর্বের মত ভোগান্তি হবে না ।
তবে ডিজিটাল ডিভাইজে কতগুলো মামলা দায়ের হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত এর হিসাব করা হয়নি।
ট্রাফিক বিভাগে জনবল সংকট রয়েছে তা কবে নাগাদ পূরন হবে সে বিষয়ে জানার (ডিসি) ট্রাফিক খায়রুল আলমের মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি তখন পুলিশ কমিশনারের সভা হলে থাকার কারনে কথা বলতে পারেনি।