ছুটি বাতিল হওয়ায় ঈদের দিনেও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছেন বরিশালের চিকিৎসক ও নার্সরা। বাড়তি রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। কোথাও কোথাও গঠন করা হয়েছে আলাদা ওয়ার্ড ও স্পেশাল টিম।
বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ হলেও কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকতেন আব্দুল মালেক। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঈদের ছুটিতে গ্রামে ফেরেন তিনি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন ১৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী। ঈদের ছুটিতেও চিকিৎসক ও নার্সরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালে সোমবার ভর্তি হন ১৬ জন নতুন রোগী।
জেলার সিভিল সার্জনের সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত এ জেলায় ৪৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞসহ ৩৪ জন চিকিৎসক ছুটিতেও দায়িত্ব পালন করছেন।
মাগুরা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে ১৮ জন নতুন রোগীসহ মোট ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের সেবায় আলাদা ওয়ার্ড ও স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে।
পটুয়াখালীর সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদের মধ্যে ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে গ্রামে আসা রোগীর সংখ্যাই বেশী। তবে, এখানে ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল হলেও তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। শুধু জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
এছাড়া বরিশাল, নাটোর, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।