বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) স্বতন্ত্র ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালের চারতলায় একটি ওয়ার্ডের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ায় সেটিকে ডেঙ্গু ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
আজ রোববার (১১ আগস্ট) সকালে হাসপাতালের পরিচালক ওয়ার্ডটি পরিদর্শন শেষে সেটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডেঙ্গু ওয়ার্ড হিসেবে চালুর ঘোষণা দেন।
এদিকে রোববার হাসপাতালটিতে ৩১৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় ৮০ জন। এ হিসেব অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা।
হাসপাতালের হিসাব অনুযায়ী, রোববার হাসপাতালটিতে ৩১৪ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ১৭৮ জন পুরুষ, ৭০ জন নারী ও ৫৭ জন শিশু রয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) ৩৪০ জন, শুক্রবার (০৯ আগস্ট) ২৭৫ জন, বৃহস্পতিবার(০৮ আগস্ট) ২৫৭ জন এবং বুধবার (০৭ আগস্ট) ২৩৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর এরআগে এ রোগীর সংখ্যা আরও কম ছিল।
হাসপাতালের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া মোট ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ৮০ জন রোগীর মধ্যে পুরুষ ৪৭ জন, নারী ২১ জন ও শিশু ১২ জন রয়েছেন। আর আগের দিন ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভর্তির সংখ্যা ছিল ৯৮ জন।
অপরদিকে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১০৬ জন রোগী। তবে এটিকে স্বাভাবিক বলছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে গতকাল শনিবারে হাসপাতাল ত্যাগ বা বিদায়ের সংখ্যা ছিল ৩৩ জন এবং শুক্রবারে গিয়েছিল ৬৬ জন।
গত ১৬ জুলাই থেকে রোববার (১১ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বরিশাল মেডিক্যালে মোট ৭৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে। এরমধ্যে হাসপাতাল থেকে বিদায় নিয়েছেন ৪৬৮ জন এবং মৃত্যু হয় চারজনের।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, ঈদের আগ মুহূর্তে রোগীর সংখ্যা বাড়াটা শঙ্কার। কারণ এখন মানুষ গ্রামের বাড়িতে ফিরছে আর রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে আমরা আগাম সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশাকরি, চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে না।