বরিশালের ঘরমুখো মানুষের সেবায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
দক্ষিণাঞ্চলের সব থেকে যাত্রী বহুল ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি যাত্রীদের সেবা দিতে গিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ-পুলিশ এবং নগর পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
গত ঈদুল ফিতর থেকেই বিসিসির মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ যাত্রীদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। যাত্রীদের সেবা দিতে গত রোজার ঈদে মেয়র লক্ষ্য করেন রাতের বেলা সড়কে যানবাহন সংকটের বিষয়টি।
রাতের বেলা নদী বন্দরে যাত্রীরা নেমে পরবর্তী গন্তব্যে যেতে যানবাহন সংকটে যেন না পড়েন। তাই এবার সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ফ্রি বাস সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সাদিক আব্দুল্লাহ।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০টির মতো বাস গত ৮ আগস্ট দিনগত রাত থেকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে যাত্রীদের নিয়ে নতুল্লাবাদ ও রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে ফ্রি পৌঁছে দিতে শুরু করে। যেখান থেকে যাত্রীরা পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলায় সহজে এবং নিরাপদে যেতে পারছেন।
ফ্রি বাস সার্ভিস শুরুর দিন থেকেই মেয়র সাদিক নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষের সেবায়। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত যতক্ষণ ঢাকা থেকে যাত্রীদের নিয়ে লঞ্চগুলো বরিশাল নদী বন্দরে আসছে, ততক্ষণ তিনি থাকছেন নদী বন্দর এলাকায়। ফ্রি বাস সার্ভিস মনিটরিং করার পাশাপাশি ঘরমুখো মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। যানবাহন নিয়ন্ত্রণসহ আনুষাঙ্গিক কাজে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করছেন।
মেয়র ছাড়াও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতা এবং ছাত্রলীগের কর্মীরাও যাত্রীদের সেবায় সহযোগিতা করছেন।
ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বরিশালে আসা শাকিল বলেন, আগের ঈদে বরিশাল নদী বন্দরে নেমে আলফা, অটো বা সিএনজিতে করে রুপাতলী যেতে কমপক্ষে জনপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাগতো। গভীর রাতে যাতায়াত করা ছিল নানা ঝুঁকি এবং আতঙ্ক। কিন্তু এবার সিটি করপোরেশনের ফ্রি বাস সার্ভিসের কারণে কোনো ভাড়াই দিতে হচ্ছে না। সেইসঙ্গে পথের নিরাপত্তা নিয়েও কোনো দুশ্চিন্তা নেই।
থ্রি হুইলার (মাহিন্দ্রা) চালক হাসান বলেন, মেয়রকে দেখেছি কখনো দাঁড়িয়ে যাত্রীদের সেবার তদারকি করছেন। আবার কখনো সড়কের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন। দূর থেকে কোনো সমস্যার খবর পেলে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়ছেন, আবার ফিরে আসছেন। আবার কখনও ঘরমুখো মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন।
মেয়রের মতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ আমাদের মেহমান। কারও অবহেলায় তাদের বিড়ম্বনা বা ক্ষতি হবে এটা আশা করা যায় না।